
অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি স্পিনার শেন ওয়ার্নের মৃত্যুর পর কেটে গেছে চার দিন। গত শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) থাইল্যান্ডে ছুটি কাটানো অবস্থায় এক ভিলায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটারকে। তারপর থেকে তার মৃত্যু নিয়ে তদন্ত করছে থাইল্যান্ড পুলিশ। শুরু থেকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলা হলেও তদন্ত চলছে পুরোদমে। রোজ নতুন নতুন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে ওয়ার্নের মৃত্যু ঘিরে।





মঙ্গলবার (৮ মার্চ) ওয়ার্নের মৃত্যু নিয়ে নতুন তথ্য জানাচ্ছে ইংলিশ পত্রিকা দ্য ডেইলি মেইল। মৃত্যুর আগে ওয়ার্নের রুমে এসেছিলেন চারজন নারী। ভিলার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। শেন ওয়ার্নের মৃতদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে, তার মৃত্যু স্বাভাবিক এবং কোনও ধরনের সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। তবে এবার জানা গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। শেন ওয়ার্নের মৃত্যুর আগে চারজন নারী তার ভিলায় এসেছিলেন। তবে পুলিশ এখনো দাবি করছে, এই নারীদের নিয়ে সন্দেহের কিছু নেই। তারা এসেছিলেন ওয়ার্নের ডাকেই। ম্যাসাজ করার জন্যই নাকি ওয়ার্ন তাদেরকে বুক করেছিলেন।





ডেইলি মেইল জানাচ্ছে, কোহ সামুইয়ের সেই ভিলার সিসিটিভি ফুটেজে কী দেখা গিয়েছে। ফুটেজে দেখা যায়, চারজন থাই নারী শেন ওয়ার্ন এবং তার বন্ধুদের ম্যাসাজ দিতে এসেছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে ওয়ার্নের মৃত্যুর বিষয়টি সামনে চলে আসে।





ডেইলি মেইল জানাচ্ছে, একজন নারী এসেছিলেন ওয়ার্নের পা ম্যাসাজ করে দিতে। তবে দরজা খুলে না দেওয়ায় সে চলে যায়। এর পরেই জানা যায়, বেঁচে নেই শেন ওয়ার্ন।
শেন ওয়ার্নের মৃতদেহ পাওয়ার প্রায় দুই ঘণ্টা এ ঘটনা ঘটেছিল। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় দুপুর ১টা ৫৩ মিনিটে তারা ওয়ার্নের ঘরের দিকে যাচ্ছে। এদের দুজন ওয়ার্নের ঘরে যায়। ২.৫৮ মিনিটে তারা ওয়ার্নের ঘর ছেড়ে যান। পুলিশের ধারণা এই দুজনই শেষ ব্যক্তি যারা ওয়ার্নকে জীবিত অবস্থায় দেখেছে।
ওয়ার্নকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় ৫.১৫ মিনিটে।





এদিকে আরেক নারী জানিয়েছে, ওয়ার্নের সঙ্গে তার বিকেল পাঁচটায় অ্যাপয়েনমেন্ট ছিল। তাকে ম্যাসাজ, ফুট ম্যাসাজ এবং পেডিকিওরের জন্য ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তিনি যখন আসেন ততক্ষণে ওয়ার্ন আর জীবিত ছিলেন না। সেই নারীর মতে, শেন ওয়ার্নের ঘরের দরজা না খুললে তিনি তার বসকে মেসেজ করে জানান যে ওয়ার্ন দরজা খুলছেন না। তিনি তখন চলে আসেন। এরপরে ওয়ার্নের বন্ধুরা তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী ওয়ার্নের মৃত্যুর সময় বিকেল পাঁচটার কিছু পরে।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ও ওয়ার্নের ময়নাতদন্ত রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করে পুলিশ এখনো বলছে ওয়ার্নের মৃত্যু স্বাভাবিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। ওয়ার্নকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় তার রুমে রক্ত পাওয়া গিয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, এই রক্ত সিপিআর দেওয়ার কারণেই এসেছে।