
সাকিব দুবাই থেকে ফিরলেই তার কাছ থেকে সরাসরি উত্তর জানতে চাইবে বিসিবি। ভবিষ্যতের ক্রিকেটারদের জন্য অস্বস্তি হয়, এমন কিছু করতে নারাজ বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আসলে আমাদের কোনও একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। যেটাই হবে- হ্যাঁ কিংবা না। যাতে আমরা পরিকল্পনা করতে পারি। এখানে একজন না খেললে আমাদের কিন্তু পরে বিকল্প দিতে হচ্ছে। একজন না খেলায় যাকে বিকল্প দিলাম, সে দেখা যাচ্ছে ভালো করছে। আবার সে ফিরলে তাকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে তো চলতে পারে না।’





অতীতের মতো ভবিষ্যতে সাকিবকে এভাবে আর সুযোগ দেবে না বিসিবি। হুট করে এই অলরাউন্ডারের নেওয়া এমন সিদ্ধান্তে টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা করতেও অসুবিধা হয়। এ ব্যাপারে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, ‘আমরা তো প্লান এ, বি, সি কত কিছু রাখি। সাকিব থাকলে এক রকম না থাকলে আরেক রকম। সাকিব যখন খেলে, তখন কোনও সমস্যা তৈরি হয় না। সাকিব যখন ফিরে আসবে, তখন সাকিবের জায়গায় যে খেলবে ওই ছেলেটার কী হবে। আমরা দল তো তৈরি করতে পারছি না। সাকিব যদি খেলতে না চায়, না খেলুক। আই ডোন্ট কেয়ার।’





সাকিব না থাকলেও কোনও সমস্যা দেখছেন না সাবেক আরেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট, ‘বিশ্বের বড় বড় দলগুলোর অনেক ক্রিকেটার অবসর নেয়। তাদের ছাড়া দল চলছে না। ভারতের ধোনিকে ছাড়া ভারত চলছে না। সাকিবকে বাদ দিলেও বাংলাদেশ চলবে। হয়তো শুরুতে কিছুটা সমস্যা হবে, কিন্তু একপর্যায়ে ঠিক হয়ে যাবে।’
তবে এসব ক্ষেত্রে ক্রিকেট বোর্ডের পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পাইলট, ‘আমি মনে করি বিসিবির আরও পেশাদার হওয়া উচিত। সাকিবের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য কেন? বিসিবির উচিত এগুলো বসে সমাধান করা। সবকিছু মিডিয়াতে কেন বলতে হবে? আমার কথা হচ্ছে, অভিভাবক হিসেবে দায়টা বিসিবির কাঁধেই যায়।’
সুত্র- বাংলাট্রিবিউন