
বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এককভাবে দলকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরে ফাইনালে তুলেছিলেন। পুরোনো ছন্দে নিজেকে খুঁজে পেয়েছিলেন তিনি। একের পর এক ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন, যা বিশ্ব রেকর্ড। তখন সাকিবের কাছ থেকে অনেক প্রত্যাশা ছিল।





সবাই তখন ভেবেছিল এবারের আইপিএলের নিলামে নিশ্চিত ভাবে দল পাচ্ছেন সাকিব। তবে শেষ পর্যন্ত সাকিবকে দলে নিতে আগ্রহ দেখায়নি কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি। মূলত আইপিএল কখন শুরু হবে ঠিক তার আগেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফর রয়েছে বাংলাদেশের এছাড়া আইপিএল যখন শেষ হবে তখন শ্রীলংকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ রয়েছে বাংলাদেশের।





তাই ধারণা করা হচ্ছে এই দুই সিরিজের জন্য আইপিএলে দল পাননি সাকিব আল হাসান। আর এতেই ভেঙে পড়েছেন তিনি। তার কারণ বিপিএলের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন সাকিব আল হাসান। বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে নিলামের ঠিক আগের ৪ ম্যাচে তিনি করেন ১৮৯ রান, বল হাতে নেন ৮ উইকেট। কিন্তু আইপিএলের নিলামের পর সে ভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। নিলামের পরে তিনি এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৭ ম্যাচ। ব্যাট হাতে মাত্র ৮২ রান করেন তিনি, বল হাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বাদে শিকার করেন ৮ উইকেট।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ওয়ানডেতে যথাক্রমে ১০, ২০ ও ৩০ রান করেন। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ রান করে আউট হন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। অর্থাৎ আইপিএল নিলামের আগে ও পরে সাকিবের পারফরম্যান্সে আকাশ-পাতাল তফাৎ।





এদিকে, সাকিবের ক্রিকেট গুরু নাজমুল আবেদীন ফাহিমও সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “প্রত্যাশা অনুযায়ী কোনো কিছু না পাওয়াটা মানসিকভাবে আঘাত করতেই পারে। আমরা জানি যে আইপিএল বিশ্বের সেরা একটি টুর্নামেন্ট। সেখানে পৃথিবীর সেরা খেলোয়াড়রা আসে। আমি যদি নিজেকে সেরা খেলোয়াড় মনে করি এবং নিজেকে যোগ্য মনে করি, এতোদিন ওখানে ছিলাম আমি। এখন যদি আমাকে ওখানে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না, এটা আমাকে আঘাত করতেই পারে”।