
সৌম্য সরকার বাংলাদেশ ক্রিকেটে যেন আক্ষেপের এক নাম। ২০১৫ সালে অসাধারণ সব ইনিংস দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রেখেছিলেন এই ওপেনার। ভারত,সাউথ আফ্রিকা কিংবা পাকিস্তানের বিপক্ষে সৌম্যের দুর্দান্ত ব্যাটিং কারিশমায় তামিমও ছায়ায় পড়ে গিয়েছিলেন। মনে হচ্ছিল বিশ্ব ক্রিকেটের নতুন সুপারস্টার হতে যাচ্ছেন সৌম্য সরকার। তবে ২০১৫ সালের পর আস্তে আস্তে যতই দিন গড়িয়েছে ততই অধারাবাহিক হয়েছে সৌম্যের পারফরম্যান্স।





পরবর্তীতে দলে আসা-যাওয়ার মধ্যেই কাটিয়েছেন নিজের ক্যারিয়ারের অধিকাংশ সময়। বর্তমানে দৃশ্যপটেরই বাইরে একসময়ের এই ড্যাশিং ওপেনার। তবে জাতীয় দলে না থাকলেও বিসিবির প্রোগ্রাম বাংলাদেশ টাইগার্সে রয়েছেন সৌম্য সরকার। বাংলা টাইগার্সে প্র্যাকটিস করে তার অনুভূতি কেমন জিজ্ঞেস করা হলে সৌম্য বলেন”আমরা যখন ঢাকায় নিজ দায়িত্বে প্র্যাকটিস করি অধিকাংশ সময়ে ব্যাটিং এবং বোলিং করে প্রাক্টিস সেশন শেষ করেদি।





তবে এখানে অনেক বেশি লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং-বোলিং এবং ফিল্ডিং এর পাশাপাশি ফিটনেস নিয়েও কাজ করছি সবাই। যা নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতে অনেক বেশি কাজে দিবে বলে আমি বিশ্বাস করি। পাশাপাশি নিজ দায়িত্বে প্র্যাকটিস করার চেয়ে কোচদের সাথে কাজ করা বেশি কার্যকরী। শুধু আমার জন্য নয় জাতীয় দলের বাইরে থাকা কিংবা অন্যান্য ফরমেটের দলে থাকা সব ক্রিকেটারের জন্যই এ ক্যাম্প অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্যাম্পে ভালো পারফর্ম করে জাতীয় দলে ফিরতে চাই”।





বর্তমান বাংলাদেশ দলে খেলা নিঃসন্দেহে অনেক বেশি কঠিন। মোটামুটি নির্বাচকদের হাতে প্রতিটি পজিশনের জন্য যথেষ্ট বিকল্প খেলোয়াড় রয়েছে। জাতীয় দলে ফিরতে নিজের সতীর্থদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই আসতে হবে এ বাস্তবতাটা মেনে নিয়েছেন সৌম্য। তিনি বলেন”নিজেদের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা চললে দিনশেষে দেশের ক্রিকেটই লাভবান হবেন। বর্তমানে নির্বাচকদের কাছে অনেক খেলোয়াড় রয়েছে ফলে জাতীয় দলে ফেরা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং।





তবে দিনশেষে বাংলাদেশের জেতাটাই মূল কথা। বাংলাদেশ জিতলেই পুরো দেশবাসী খুশি হয়, সেখানে আমি খেলি বা অন্য কেউ খেলুক। তবে আমার চেষ্টা থাকবে ভালভাবে প্র্যাকটিস করে অন্যান্য সবার চেয়ে ভালো পারফর্ম করে দলে ফেরা”। সৌম্যর কথাবার্তাতেই পরিষ্কার নিজের ক্রিকেট নিয়ে নতুনভাবে চিন্তা করা শুরু করেছেন এই ওপেনার। যদিও দলে ফিরতে হলে কথা নয় কাজে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে সৌম্যর।
তবে সৌম্যর মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের রক্ষণাবেক্ষণে বিসিবি আরেকটু সচেতন হতেই পারে। সৌম্যর কথায় পরিষ্কার যে ঢাকায় একা প্র্যাকটিস করা ক্রিকেটারদের উন্নতিতে খুব একটা কাজে দিচ্ছে না। ফলে সৌম্যর মত ক্রিকেটারদের সাথে নিয়মিত থাকার জন্য ভালো কোচের ব্যবস্থা তো করতেই পারে বিসিবি। আগের সৌম্যকে যদি আবার দেশের জার্সিতে দেখা যায় তাহলে তো দিনশেষে উপকার হবে বাংলাদেশেরই।