
এই মাসেরই ২৬ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে আইপিএল। ইতিমধ্যেই তার সূচিও ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আইপিএল শুরু হওয়ার আগে ঘরোয়া লাল বলের টুর্নামেন্ট রঞ্জির তৃতীয় রাউন্ড মাতালেন চার কলকাতা নাইট রাইডার্স তারকা। এই চার তারকার পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে কেকেআর ম্যানেজমেন্টতথা সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাবেই।





রঞ্জি মরশুমের শুরুটা দুরন্তভাবে শতরান দিয়ে করেছিলেন অজিঙ্কা রাহানে। তবে দিন যত যাচ্ছে তাঁর খারাপ ফর্ম পুনরায় ধরা পড়ছে। রঞ্জির তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ওড়িশার বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের চারে ব্যাট করতে নামেন রাহানে। তবে প্রথম বলেই শূন্য রানে আউট হন তিনি। মুম্বই ইনিংস ও ১০৮ রানে ম্যাচ জেতায় দ্বিতীয়বার ব্যাট করার সুযোগ হয়নি তাঁর।





বাবা ইন্দ্রজিৎ-র ক্ষেত্রে ছবিটা রাহানের একেবারে উল্টো। রঞ্জির প্রথম দুই ম্যাচে ১১৭ ও ১২৭ রানের দুই ইনিংস খেলেছিলেন তামিলনাড়ুর ব্যাটার। তৃতীয় ম্যাচেও ফের তাঁর ব্যাট কথা বলল। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ১০০ করার পর, দ্বিতীয় ইনিংসে ৫২ রান করেন তিনি। যদিও তাঁর দল দুই উইকেটে ম্যাচ হেরে যায়।





ঘরোয়া ক্রিকেটে বরাবরই ধারাবাহিক পারফর্ম করেন শেল্ডন জ্যাকসন। এই মরশুমেও তার অন্যথা চোখে পড়ছে না। সৌরাষ্ট্রের হয়ে গোয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া করেন শ্লেডন। ৯৭ রানে আউট হন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে সেখানে ২৬ বলে ৫৩ রান করে আইপিএলের হালকা প্রস্তুতিও সেরে রাখলেন অভিজ্ঞ এই উইকেটকিপার-ব্যাটার।





কেকেআর আইপিএল নিলামে রিঙ্কু সিংকে দলে নেওয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। তবে ম্যাচের পর ম্যাচ, ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে সমালোচকদের জবাব দিচ্ছেন রিঙ্কু। মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৬৭ রান তো করেছিলেনই, দ্বিতীয় ইনিংসেও ৬০ বলে ৭৮ রানের একটু তুখর ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দেন রিঙ্কু।
শতরান না করতে পারলেও, ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে দুই ইনিংসেই অর্ধশতরান করেন নীতিশ রানা। প্রথম ইনিংসে দায়িত্ব নিয়ে মুশকিল সময়ে ১৫২ বলে ৭১ রান করার পর, দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ বলে ঝোড়ো ৫৭ রান করেন নীতিশ। ম্যাচে এক উইকেটও নিয়েছেন তিনি।