
পাকিস্তান ক্রিকেটে সবচেয়ে আলোচিত একটি নাম রশিদ লতিফ। খেলোয়াড়ি জীবনে এবং উভয় ক্ষেত্রেই প্রশংসিত হয়েছেন। প্রাক্তনদের কাতারে নিজের নাম লেখালেও বিতর্কিত সব মন্তব্য নিয়ে আলোচনা করার অভ্যাস আছে বলে মনে হয়। এবার বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে কটাক্ষ করলেন পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটার।





রাওয়ালপিন্ডিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে পাকিস্তান রান তুলেছে দেখেশুনে। টেস্ট মেজাজের ব্যাটিংয়ের কারণে রান রেট ছিল কম। এতে নিজের মেজাজ হারিয়ে ফেলেন রশিদ লতিফ।





প্রথম দিন পুরো ৯০ ওভার ব্যাট করে পাকিস্তান মাত্র ১ উইকেট হারালেও জড়ো করেছিল ২৪৫ রান। এরপর তিনি বলেন, ‘তাদের বিপক্ষে আমরা টেস্টই খেলি কম। মনে হচ্ছে এখনও আমাদের শিখতে হবে টেস্ট ক্রিকেট কীভাবে খেলতে হয়। এটা শ্রীলঙ্কা বা বাংলাদেশ নয়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ জিততে হলে আপনাকে রান রেট ভালো রাখতে হবে।’
রশিদ লতিফ আরও জানান, ‘৫০০ রানের চেষ্টা করলে আপনাকে আবহাওয়ার কথা মাথায় রাখতে হবে, দ্বিতীয় দিন চা বিরতির আগে ইনিংস ঘোষণা করতে হবে। তখন লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলতে হবে, তারপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’





রশিদ লতিফ বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে খাটো করে দেখলেও রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানের রান রেট নিয়ে অসন্তোষ অবশ্য অস্বাভাবিক নয়। প্রায় ২ দিন ব্যাট করে পাকিস্তান ৫০০ রান জড়ো করতে পারেনি, যদিও হাতে ছিল ৬ উইকেট।
রশিদ লতিফের ক্যারিয়ারের সাথে অবশ্য বাংলাদেশের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। ২০০৩ সালে স্মৃতি বিজড়িত মুলতান টেস্টে জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিল বাংলাদেশ। খালেদ মাহমুদ সুজনের দলের বিপক্ষে অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হকের ব্যাটিং দৃঢ়তা খাদের কিনারা থেকে জয় এনে দেয় পাকিস্তানকে।
তবে ঐ ম্যাচে মাটিতে স্পর্শ করা বল কুড়িয়ে প্রতারণার মাধ্যমে আউট আদায় করে পাকিস্তানকে অবৈধ সুবিধা এনে দিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক রশিদ লতিফ, যা শেষপর্যন্ত ম্যাচের ফলাফলের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।





সেই মুলতান টেস্টে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে জড়ো করে ১৫৪ রান। তবে উইকেটে সেট হওয়ার পথে থাকা অলক কাপালিকে (৪১ বলে ২২ রান) ইয়াসির আলীর বলে ডিসমিসাল করতে ব্যর্থ হয়েও প্রতারণা করে মাটি থেকে বল তুলে আউট আদায় করে নেন রশিদ লতিফ। তার প্রতারণা দৃষ্টি এড়ায় দুই আম্পায়ার রাসেল টিফিন ও অশোকা ডি সিলভারও।
বাংলাদেশ ম্যাচ হেরে গেলেও ম্যাচ রেফারির কাছে দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, যার কারণে রশিদ লতিফ টেস্ট সিরিজ পরবর্তী পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে নিষিদ্ধ হন। এরপর আর তাকে জাতীয় দলে সুযোগই দেয়নি পাকিস্তান।