
বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে হার বরণ করে নিলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে আফগানিস্তান। শক্তিশালী বোলিং ইউনিট নিয়ে টাইগার ব্যাটসম্যানদেরকে এদিন বোকা বানিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল আফগানরা।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ শিবিরে এদিন প্রথম আঘাত হানেন অধিনায়ক নবি। ১০ বল মোকাবেলায় মাত্র ৪ রান করা মুনিম শাহরিয়ারকে সাজঘরে ফেরত পাঠান নবি।





লিটন দাস ও নাইম শেখ সমান ১৩ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নিলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে ১৪ বলে ২১ রান করে রশিদ খানের শিকারে পরিণত হয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মাঠ ছাড়লে খানিক সময় বিরতি দিয়ে মুশফিকও ফিরে যান ফারুকির বলে। শেষের দিকে আর কেউ দাঁড়াতে পারেনি আফগান বোলারদের সামনে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে টাইগাররা থামে মাত্র ১১৫ রানে।
বল হাতে আফগানিস্তানের হয়ে এদিন ফারুকি ১৮ রানে ৩টি, আজমতউল্লাহ ২২ রানে ৩টি এবং নবি-রশিদ দুজনে নেন ১টি করে উইকেট।





সহজ লক্ষ্যে খেলতে নামা আফগানিস্তান ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিল এই ম্যাচে। দলীয় ৪ রানের মাথায় রহমানউল্লাহ গুরবাজকে হারালেও আরেক ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই ও উসমান খানি মিলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান।
৪৮ বল মোকাবেলায় ৪৭ রান করে উসমান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের শিকারে পরিণত হলেও জাজাই ৪৫ বলে অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ফলে আফগানরা ম্যাচ জিতে নেয় ৮ উইকেটে।





এদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে এমন জয় পাওয়ার পর আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি কৃতিত্ব দিয়েছেন দলের দুই ব্যাটসম্যান হজরতউল্লাহ জাজাই ও উসমান ঘানিকে। সেই সাথে দলের বোলারদেরও প্রশংসা করেন নবি।
ম্যাচ শেষে নবি বলেন, ‘’ছেলেরা সত্যিই ভালো করেছে আজকে। বিশেষ করে প্রথম ইনিংসে। বোলারদের প্রচেষ্টা ভালো ছিল, ফিল্ডিংও ভালো করেছি আমরা। হজরতউল্লাহ ও ঘানি ভালো ব্যাটিং করেছে। প্রথম ম্যাচে আমাদের ব্যাটসম্যানরা যে ভুল করেছিল তা নিয়ে কাজ করে শুধরেছি এই ম্যাচে। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য আমরা তারুণ্যনির্ভর শক্তিশালী দল গঠন করতে যাচ্ছি। গতি ধরে রাখতে আমরা আমাদের সেরাটা দিয়ে যাচ্ছি।‘’