
সদ্য ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন লংকান ওপেনার উপুল থারাঙ্গা। তিন ফরম্যাটে ১৫ বছর শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিত্ব করেছেন ৩৬ বছর বয়সী থারাঙ্গা। দেশের হয়ে ৩১ টেস্ট, ২৩৫ ওয়ানডে ও ২৬ টি-২০ খেলেছেন তিনি।
টেস্টে ৩টি, ওয়ানডেতে ১৫টি সেঞ্চুরি রয়েছে এই বাহাতি ওপেনারের।





তবে মজার একটু বিষয় হয়তো অনেকেরই অজানা এই লংকান ওপেনার উপুল থারাঙ্গার স্ত্রীকে তারই দেশের আরেক সাবেক কিংবদন্তি ওপেনার তিলকারত্মে দিলশানের বউ ছিলেন।





উপুল থারাঙ্গার সাথে বিয়ের আগে মারকুটে লংকান ওপেনার দিলশানের সাথে বিয়ে হয় নীলঙ্কের। দিলশান ও নীলাঙ্কের একটা ছেলে সন্তানও আছে। তবে ওই অবস্থায় উপুল থারাঙ্গার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন নীলাঙ্ক। সব যখন জানতে পারেন দিলশান, তখন তিনি তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন।
আর ডিভোর্সের পর আরেক লংকান ওপেনার ব্যাটসম্যান উপুল থারাঙ্গার সাথে বিয়ে করেন নীলঙ্ক।
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার জার্সিতে শেষবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন থারাঙ্গা ২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। তারপর আর ম্যাচ খেলা হয়নি তার। টেস্টে ৩টি, ওয়ানডেতে ১৫টি সেঞ্চুরি রয়েছে তার।





অন্যদিকে ওয়ানডেতে ১০ হাজারেরও বেশি রান করেছেন যেসকল ব্যাটসম্যান তাদের মধ্যে একজন হলেন তিলকারত্নে দিলশান। একদিনের ক্রিকেটে ১০ হাজার ২৯০ রান করা দিলশান ২২টি সেঞ্চুরি এবং ৪৭টি ফিফটি হাঁকিয়েছেন।
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম অধিনায়ক হিসেবে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরি হাঁকানোর কীর্তি আছে দিলশানের।মাত্র পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ১০ হাজার রান এবং ১০০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক আছে দিলশানের।
ওয়ানডেতে ২৫ বার ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে দিলশানের হাতে। তার চেয়ে ওয়ানডেতে বেশি ম্যাচ সেরার পুরস্কার নেওয়া লংকান ক্রিকেটাররা হলেন সনাথ জয়সুরিয়া (৪৮), কুমার সাঙ্গাকারা (৩১) এবং অরবিন্দ ডি সিলভা (৩০)।