
আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সময় পার করেছেন লিটন দাস। ব্যাট হাতে দলের ম্যাচ জয়ে অবদান রেখে সিরিজের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন লিটন।





সাম্প্রতিক সময়ে খুব একটা ফর্মে ছিলেন না লিটন দাস। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ হয়েছিলেন লিটন। নানা সমালোচনা যখন ডালপালা মেলছিল ঠিক তখনই জবাবটা ব্যাটের মাধ্যমে দিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে লিটন দাস খেলেছেন ১৩৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। যেখানে দলকে বড় পুঁজি এনে দিয়ে ম্যাচ জয়ে ব্যাপকভাবে অবদান রেখে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন লিটন।





সিরিরিজের শেষ ম্যাচে এসেও ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়েছেন লিটন। তামিম, সাকিব, মুশফিকরা যখন বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ তখন লিটন দাস খেলেছেন ৮৬ রানের ইনিংস। যদিও মাত্র ১৪ রানের জন্য টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এই ব্যাটসম্যান।
এদিকে সিরিজে লিটন দাস সর্বমোট করেছেন ২২৩ রান করেছেন লিটন দাস। ৭৪.৩৩ গড়ে ব্যাটিং করা লিটন একটি শতক ও একটি অরধশতক হাঁকিয়েছেন। যদিও শেষ ম্যাচের অর্ধশতক শতকে পূরণ হয়নি অল্পের জন্য।





ব্যাট হাতে লিটন দাসের এমন পারফরম্যানের পর সিরিজের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন লিটন দাস। সিরিজের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়ে লিটন দাস। সিরিজের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়ায় লিটনকে পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয়েছে ২ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমান দাঁড়ায় প্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
সিরিজের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়ে লিটন দাস জানান দুঃসময় তাকে সাপোর্ট দিয়েছিলেন তার স্ত্রী। লিটনের ভাষ্য, ‘’আমার স্ত্রী আমাকে অনেক সাপোর্ট দেয়। তাকেই উৎসর্গ করছি।‘’





নিজের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘’নিজের পারফরম্যান্সে আমি অনেক খুশি। তবে দল জিতলে নিজের পারফরম্যান্সের মূল্য বেড়ে যায়। প্রথম ১৫ ওভার দেখেশুনে খেলেছি, কারণ তারা প্রথম পাওয়ারপ্লেতে খুব ভালো বোলিং করছিল। ঐ সময়টা বুঝেশুনে খেলেছি। আমার লক্ষ্য ছিল ৩৫ ওভার ব্যাট করা। ৪২ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করতে পারলে খেলার দৃশ্যপট ভিন্ন কিছু হতে পারত।‘’