
আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে এসে হার বরণ করে নিতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। আফগানদের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এদিন টাইগাররা আফগানদের কাছে হেরেছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
প্রথমে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ দল শুরু থেকেই ধারাবাহিক বিরতিতে উইকেট বিলাতে থাকে। প্রথম ম্যাচের মত এই ম্যাচে টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডারে ব্যাটসম্যানরা ছিলেন ব্যর্থ।





ওপেনার লিটন দাস ৮৬ রানের ইনিংস খেললেও বড় স্কোরের দেখা পাননি তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম কিংবা ইয়াসির আলি রাব্বিরা। ফলে লিটনের ৮৬ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত ২৯ ও সাকিবের ৩০ রানে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারের ১৯ বল বাকি থাকতেই বাংলাদেশ দল অলআউট হয় ১৯২ রানে।
১৯৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা আফগানিস্তান এদিন শুরুটা ভালো পায় রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও রিয়াজ হাসানের ব্যাটে। উদ্বোধনী জুটিতে ৭৯ রান করার পর এই জুটি বিছিন্ন করেন সাকিব আল হাসান ব্যক্তিগত ৩৫ রানে রিয়াজকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে দিয়ে।





শেষ পর্যন্ত রহমত শাহর ৪৭ রানের সাথে ওপেনার গুরবাজের অপরাজিত ১০৬ রানে ভর করে ৪০ ওভার ১ বলেই ৭ উইকেটে জয় পায় আফগানরা।
এদিকে আফগানদের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে এমন হারের পর এর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দল হারের পর হতাশা প্রকাশ করেছেন তামিম। শেষের দিকে ছন্দ ধরে রাখতে না পারার কারণেই ম্যাচ হেরেছে দল এমনটা মনে করেন টাইগারদের অধিনায়ক।





ম্যাচ শেষে তামিম বলেন, ‘’আসলে খুবই হতাশ। শ্রীলঙ্কার সাথেও আমরা এভাবে শেষ ম্যাচে হেরেছিলাম। মাঝখানে ভালো খেললেও আমরা শেষ দিকে ছন্দ হারিয়েছি। আমি মনে করি লিটন দাসও ভুল সময়েই আউট হয়েছে। সে ফর্মে ছিল ও ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলো।‘’
‘’আমি মনে করি এটা সিরিজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল। যদিও আমরা সিরিজ জিতেছি কিন্তু সব পয়েন্ট পেলাম না। কোনো অজুহাত নেই। আমরা যখন ব্যাটিং করছিলাম তখন কিছুটা ভালো বল হচ্ছিল প্রথম ২০ ওভারে। আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। গুরবাজ ভালো ব্যাটিং করেছে। সে সুযোগ দিয়েছিল কিন্তু আমরা তা কাজে লাগাতে পারিনি।‘’
সিরিজ সেরা হয়ে লিটন দাস ২০০০ ডলার পান যা বাংলাদেশী টাকায় ১ লক্ষ ৭০হাজারের মত।