
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ২০০৮ সালে শুরু হয়েছিল। এরপর থেকেই পাল্টে যেতে থাকে ক্রিকেটের চিত্র। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট সময়ের সাথে সাথে প্রাধান্য পেয়েছে। আইপিএলের পর বিপিএল, সিপিএল, পিএসএসএলের মতো টুর্নামেন্ট মাঠে গড়িয়েছে।





ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোর সাফল্যের কারণে বদলে গেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দৃশ্যপট। মাঠের ক্রিকেটের দাপটে প্রচুর দর্শক টানতে পেরেছে টুর্নামেন্টগুলো। যেখানে একেবারে সবার ভারতের আইপিএল। সময় যত বেড়েছে টুর্নামেন্টটির জনপ্রিয়তা ততই তুঙ্গে উঠেছে।





আইপিএল অনুসরণ করে বিপিএল চালু করা হলেও সেভাবে দেশের ক্রিকেটে প্রভাব ফেলতে পারেনি বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই যেন চার-ছক্কার ছড়াছড়ি। ব্যাটসম্যানদের কল্যাণে রানের ফোয়ারা, নাভিশ্বাস উঠে বোলারদের। সেখানে ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে আরও একটু বেশি এগিয়ে। কারণ টুর্নামেন্টগুলোতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বানানো হয় ব্যাটিং বান্ধব পিচ। যাতে করে অনায়াসে ব্যাটসম্যানরা রান তুলতে পারেন। যেখানে ঢের পিছিয়ে বিপিএল।





বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটি শুরু হওয়া মানেই ভেন্যু না বাড়ানো, মানসম্মত আন্তর্জতিক ক্রিকেটারের অভাব, দর্শককে টানার মতো উপকরণ না থাকা, টেলিভিশন সম্প্রচার নিয়ে নানা অভিযোগ। টুর্নামেন্টটির আটটি আসর পেরিয়ে গেলেও চোখে পড়েনি বিপিএলের উন্নতির ছাপ। এদিকে বিপিএলের উন্নতির গ্রাফটা যে নিচের দিকে সেটা চোখ এড়ায়নি সাকিবেরও। আইপিএল, পিএসএল কিংবা সিপিএলের মতো জনপ্রিয় টুর্নামেন্টগুলো নিয়মিত খেলার সুবাদে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের মান সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণাই রয়েছে সাকিবের।





যার প্রতিফলন ঘটেছে বাংলাদেশের অলরাউন্ডারের মন্তব্যে। বিশ্বের সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টকে বেছে নিতে গিয়ে শীর্ষে রেখেছেন ভারতের আইপিএলকে। এদিকে সাকিবের চোখে দ্বিতীয় সেরা লিগ অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিপিএল। এক ফেসবুক লাইভে এমনটাই জানিয়েছেন সাকিব।





এদিকে বিপিএলের জায়গা কোথায় এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়া হলে সাকিব জানিয়েছেন, বিপিএল বিশ্বের পঞ্চম কিংবা ষষ্ঠ সেরা টুর্নামেন্ট। সাকিব বলেন, ‘বিপিএল বিশ্বের পাঁচ কিংবা ছয় নাম্বার টুর্নামেন্ট।’