গোপন তথ্য ফাঁস: ২য় ওয়ানডে ম্যাচে মুশফিককে বাদ দেয়ার পরিকল্পনা ছিল এক প্রভাবশালী পরিচালকের

454

একের পর এক সিনিয়র ক্রিকেটারের জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে থাকে অনেক গুঞ্জন। এই যেমন মুশফিকুর রহিম। ৮৬ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলে বড় ভূমিকা রেখেছেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিততে। অথচ এই ম্যাচে না খেলারও সম্ভাবনা ছিলো তাঁর। প্রথম ম্যাচে টপ অর্ডারের সাথে মুশফিকের বাজে পারফরমেন্সের পর তাকে বাদ দেয়ার কথা আসে প্রেসিডেন্ট বক্সে। তবে শেষ পর্যন্ত বোর্ড সভাপতির আপত্তিতে অবশ্য খেলার সুযোগ হয় মুশিফকের।

jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn

বিসিবি প্রেসিডেন্ট বক্সে কি হয় তার একটা ছবি পরিষ্কার হয় মাশরাফি বিন মূর্তজার এই বক্তব্যে মাশরাফি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বক্সে আসলে একজন ক্রিকেটারকে উলঙ্গ করা হয়। পুরো উলঙ্গ করা হয়। এটা উনারাও জানেন। উনারা অস্বীকার করতে পারবেন না। ওখানে আমাদের মানুষরাও থাকেন। ক্রিকেটারদের সঙ্গে সম্পৃক্ত, ভালো সম্পর্কের মানুষও থাকেন। আমরা শুনি।

‘‘প্রেসিডেন্ট বক্সে যখন বলা হয়, ‘ওই প্লেয়ার চলে না’, তখন ওই প্লেয়ার আর চলেই না। যেখানেই ভালো খেলুক আর চলে না।’’

jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn

তবে ক্রিকেটের স্বার্থে অনেক আলোচনা পরিকল্পনা করবেন বোর্ড কর্তারা সেটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু সেই আলোচনা যদি কারো ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। প্রশ্ন ওঠে তখনই। এই যেমন মুশফিকুর রহিম। ছোট কাঁধে দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন গেল এক যুগে। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে তার এমন আউট নিয়ে নাকি ঝড় ওঠে প্রেসিডেন্ট বক্সে। মুশফিকদের এমন আউটে ৪৫ রানের স্কোর বোর্ডে তখন ছয় উইকেট হারানোর হাহাকার। আফগানদের সাথে হারটা ধরে নিয়েছিলেন কর্তরা।

jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn

তাইতো কড়া সমালোচনা চলে প্রেসিডেন্ট বক্সে। এক পর্যায়ে প্রভাবশালী এক পরিচালক পরামর্শ দেন পরের ম্যাচে মুশফিককে বাদ দেয়া হোক। খেলানো হোক মাহমুদুল হাসান জয়কে।
কিন্তু এসব ধোপে টেকেনি। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের আপত্তিতে ঠিকে যান মুশফিক। বিসিবি সভাপতি ভোলেননি মুশফিকের গেল সাত বছরের ওয়ানডে রেকর্ড। এই সময়ে পঞ্চাশের কাছাকাছি যার গড় তাকেছেঁটে ফেলা কি এতই সহজ। আসলেই তাই এরপর তো ইতিহাস। অভিজ্ঞতা যে টাকা দিয়ে কেনা যায় না তার প্রমাণ মুশফিক দিয়েছেন ৮৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে। পরিণত বয়সে ক্রিকেটারদের দেয়া থাকে অনেক কিছুই সেটাই মনে করিয়ে দিলেন ক্রিকেট বিশ্লেষক ফাহিম।

jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn

তিনি বলেন সিনিয়ার ক্রিকেটাররা এক ম্যাচ খারাপ খেললে সেই চাপ সামলো পরে ম্যাচে ঠিকি ফিরে আসেন। কারণ তাদের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি কিন্তু একজন নতুন ক্রিকেটার সেইটা করে উঠতে পারে না। তাদের কাছে অনেক কঠিন। যদি দ্বিতীয় ম্যাচে রান না করতেন কি হতো মুশফিকের ভাগ্যে। এই যে সিনিয়রদের ছেঁটে ফেলা নিয়ে প্রেসিডেন্ট বক্সের হট টপিক। তা কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছে তবে কি নতুন মেরুকরণ হচ্ছে টাইগার ক্রিকেট

You May Also Like