
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে জেমি সিডন্স দায়িত্ব নেয়ার পর তার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে রয়েছে আফগানিস্তান সিরিজ। যেখানে প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাটিং ছিল মুগ্ধ করার মত। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এসে ব্যাট হাতে লিটন দাস যেন নিজেকে নতুন করে প্রমান করেছেন।





দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের বাইরে তরুণ ক্রিকেটারদের এমন পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্সেরও। তিনজনের ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠার পর তাদেরকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন সিডন্স নিজেও।





শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে এসে সিডন্স বলেন, ‘’পাঁচ-ছয় ফুট লম্বা বোলার আছে যারা কিনা নিয়মিত ঘণ্টায় ১৪০ কিমিতে বল করেছে। এটা আমার কাছে বেশ রোমাঞ্চকর লেগেছে। আপনার কাছে এখনও বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার রয়েচে যে কিনা প্রতিনিয়ত পারফর্ম করছে তা ব্যাটিং হোক কিংবা বোলিং। আমি ইতোমধ্যে দুটি ম্যাচে বেশ কিছু প্রতিভাবান ক্রিকেটার দেখেছি- মিরাজ, আফিফ ও লিটন।‘’
দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গ দিতে জুনিয়র ক্রিকেটারদের আরও দায়িত্ব নিতে হবে বলে মনে করেন সিডন্স। সেই সাথে জানালেন আরও বেশি বেশি ম্যাচ খেললে আরও পরিণত হবেন ক্রিকেটাররা।





সিডন্সের ভাষ্য, ‘’তারা মানসম্পন্ন ও শান্ত ক্রিকেটার। তাঁরা যত বেশি খেলবে, তত বেশি বড় ম্যাচে পারফর্ম করবে। এগুলো আমাদের ছেলেদের জন্য চাপের খেলা। এগুলো তাঁদের জিততেই হবে। তরুণ খেলোয়াড়রা সামনে থেকে পারফর্ম করেছে যা দেখতে দারুণ লেগেছে আমার। আমাদের সিনিয়ররাও এক পর্যায়ে উঠে দাঁড়াবে তবে তাঁদের সমর্থন দেওয়ার জন্য জুনিয়র ক্রিকেটারদেরও প্রয়োজন।‘’





তরুণদের পারফরম্যান্সের পর ব্যাটিং পরামর্শক সিডন্স মনে করছেন তার নিজের উপর চাপ অনেকটা কমে গেছে। তিনি যোগ করেন, ‘’প্রতিভা দেখে ইতোমধ্যে আমার ওপর চাপ প্রায় কমে গেছে। তাঁরা এমনিতেই বড় ম্যাচে পারফর্ম করতে সক্ষম। লিটন টেস্ট ম্যাচে তা করে দেখিয়েছে। আমি তাঁকে সাহায্য করতে মুখিয়ে আছি। তাঁর হয়তো কিছু সময় লাগবে যেদিন সে বিশ্বের সব সেরা বোলারদের বিপক্ষে সফল হবে। এবার তা সেরা ফাস্ট বোলার হোক কিংবা স্পিনার। তাঁকে ঐ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়াটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জের। তামিম ও বাকিরা অনেক উচ্চতায় পৌঁছেছে। আমি চাইব জুনিয়ররা আরও অনেক উচ্চতায় উঠুক।‘’