
২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ভেন্যু হিসেবে অভিষেক হয় বগুড়ার শহিদ চান্দু স্টেডিয়ামের। সে বছরের পর সেখানে মাঠে গড়ায়নি আর কোনো ম্যাচ। দীর্ঘ ১৬ বছর বগুড়ায় ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলোর কয়েকটি ম্যাচ হলেও আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচ হয়নি। এর কারণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।





শনিবার বগুড়ায় সংবাদমাধ্যমকে নিজামউদ্দিন জানিয়েছেন সেখানকার অবকাঠামোগত সমস্যার কথা। যেখানে নিরাপত্তা, লজিস্টিক ফ্যাসিলিটি আর ভালো মানের হোটেল না থাকাকে দায়ী করেছেন। নিজামউদ্দিন বলেন, ‘আপনারা জানেন যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট করতে হলে কিছু ব্যাপার আছে। আইসিসির একটা রেগুলেশনস আছে। তাদের কিছু ব্যাসিক রিকোয়্যারমেন্টস আছে। স্পেশালি ইন টার্মস অব সিকিউরিটি, লজিস্টিক ফ্যাসিলিটি, হোটেল এবং রেলেভেন্ট যে ফ্যাসিলিটিগুলো, সে ফ্যাসিলিটি গুলো যদি আইসিসির মানদণ্ড অনুযায়ী হয়, তাহলে…। এখানে তো ঘরোয়া খেলা হচ্ছে।’





চাইলেই স্টেডিয়াম আর কাঠামোগত উন্নয়ন যে বিসিবি করতে পারবে না সেটিও জানালেন নিজামউদ্দিন, ‘স্টেডিয়াম কিন্তু জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বা মিনিস্ট্রি অব স্পোর্টসের আন্ডারে। সেখানে আমাদের কিছু লিমিটেশনস আছে। এখানে যে কাজগুলো ইমিডিয়েট করার দরকার ছিল, আমাদের প্রোগ্রামটা রান করার জন্য আমরা সেগুলোই করেছি এবং পর্যাক্রমে আমারা মনে হয় যে এটা আমরা মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলে বা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাথে কথা বলে এটার অন্যান্য বিষয়গুলোকে যতটুকু এটেন্ট করা সম্ভব হয় আমরা করব।’





বগুড়ায় বাংলাদেশ দলের পরিসংখ্যান বেশ ভালো। একমাত্র টেস্ট শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারলেও। সেখানে নিজেদের খেলা ৫ ওয়ানডেতে ৪টি জয় বাংলাদেশ দলের। এই স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ম্যাচ বা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ যে খুব দ্রুতই আয়োজন করা সম্ভাবনা নেই সেটিও মনে করিয়ে দিলেন নিজামউদ্দিন।
নিজামউদ্দিন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আর বিপিএল অলমোস্ট সেইম। এটা একটু চ্যালেঞ্জিং, হোটেল থাকতে হবে। সেদিক বিবেচনায় একটু সময় তো লাগবে।’