
চারদিকে গুলির শব্দ। পরিবার থেকে আসা ফোনের ওপাড়ে শুধুই কান্না আর ভয়। রাশিয়ার আগ্রসনের মুখে যখন নিজ দেশ ইউক্রেন, স্পেনে তখন অনুশীলনে স্পোর্টিং ডি গিজনের ফুটবলার ভ্যাসিলি ক্রাভেটস। তবে মনটা যে পড়ে আছে ইউক্রেনেই। ছুটে যেতে চাইছেন সেখানে। রেডিও মার্কাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলছেন, গুলি চালাতে জানলে যুদ্ধে যেতেন। এখনও অবশ্য দেশকে বাঁচাতে সেখানে যেতে চান। ক্রাভেটসের দাবি, সব দোষই পুতিনের। কতটা ভয়ে আছেন, জানিয়েছেন সেসবও। আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বকে পাশে দাঁড়ানোর।





তিনি বলেছেন, ‘তারা মানুষদের মারছে, বেসামরিক, হাসপাতাল সব জায়গায়…এটা পুতিনের দোষ। আমি বলব না এটা রাশিয়ার দোষ, সব কিছু পুতিন করছে। আমরা এমন একটা দেশ, যারা শান্তিতে বাঁচতে চায়। কাউকে আক্রমণ করতে চাই না, ভালোভাবে শান্তিতে থাকতে চাই কেবল।’





নিজের যুদ্ধে যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়ে ক্রাভেটস বলেন, ‘আমি সত্যিটা বলেছি : যুদ্ধে গিয়ে দেশের মানুষদের সাহায্য করতে চাই। কিন্তু পারছি না কারণ কীভাবে গুলি করতে হয় জানা নেই, জানি না কীভাবে ঘুরতে হয়, বন্দুকে গুলি ঢুকাতে হয়…কিন্তু সত্যিটা হচ্ছে আমি সাহায্য করতে চাই। যদি যাই, আমার দেশকে বাঁচাতে যাবো। এটা হৃদয়ে ধারণ করে এমন সব ইউক্রেনিয়ানদের জন্য বাধ্যতামূলক।’
এখনই দেশ ছেড়ে যাবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রেডিও মার্কাকে এই ডিফেন্ডার বলেন, ‘আমাদের সব বিমানবন্দর বন্ধ। যদি আমার দেশ মনে করে সবাইকে দরকার লড়াই করার জন্য, আমি যাবো। ক্লাবের সঙ্গে কথা বলবো এরপর চলে যাবো।’





‘আমি একদমই ঘুমাতে পারছি না। মা ফোন করে বলেছে, গুলির শব্দ শুনছে। আমি অনুশীলন করছি কিন্তু শুধু দেশের কথাই ভাবছি, আমার পরিবার…আমার স্ত্রী দিনে ৮-১০বার কান্না করে। এটা অবিশ্বাস্য একটা ব্যাপার হচ্ছে।’ বিশ্বকেও ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি, ‘কিছু দেশের অস্ত্রসহ ইউক্রেনে ঢুকা উচিত। আমরা শক্তিশালী কিন্তু সাহায্য দরকার আমাদের। আমরা মরতে চাই না, মারতেও চাই না।’