
চট্টগ্রামে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মেহেদি হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন ধ্রুবর দুর্দান্ত জুটিতে জয় পাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম যেন আগের ম্যাচের জুটিরই পুনরাবৃত্তি করেছেন।





টস জিতে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ দলের ওপেনার তামিম ইকবাল ও তিন নম্বরে নামা সাকিব আল হাসান যখন ব্যাট হাতে ব্যর্থ তখন লিটন দাসের সাথে মিলে বড় জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম। রশিদ খান, মোহাম্মদ নবি কিংবা গত ম্যাচে টাগারদের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামিয়ে দেয়া ফজল হক ফারুকিদের শক্ত হাতে মোকাবেলা করেন লিটন-মুশফিক দুজনেই।





লিটনের সাথে মিলে এদিন মুশফিকুর রহিম গড়েছেন ২০২ রানের জুটি। যা তৃতীয় উইকেট জুটিতে যেকোনো দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। লিটন দাস এদিন নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শতক তুলে নিলেও মুশফিকুর রহিম বঞ্চিত হয়েছেন শতক থেকে।





দলীয় ২৮৫ রানের মাথায় ৪৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে লিটন দাস ১৩৬ রানে সাজঘরে ফিরে যাবার পর টিকতে পারেননি মুশফিকুর রহিমও। পরের বলেই ফরিদ আহমেদের শিকারে পরিণত হয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিক।
ব্যাট হাতে এদিন সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৪ রান দূরে থেকে সাজঘরে ফিরে যান মুশফিক। ৯৩ বল মোকাবেলায় মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে আসে ৮৬ রানের ইনিংস। মুশফিকের এই ইনিংসে ছিল ৯টি চারের মার। তার স্ট্রাইকরেট ছিল ৯২.৪৭।





মূলত লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত জুটিতে ভর করেই নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দল ৩০৬ রানের বিশাল পুঁজি পেয়েছিল। যেখানে টাইগাররা ম্যাচও জিতেছে ৮৮ রানের বড় ব্যবধানে।
ব্যাট হাতে সেঞ্চুরির দেখা না পেলেও মুশফিকুর রহিম নির্বাচিত হয়েছেন ম্যাচের মোস্ট ভেল্যুয়েবল প্লেয়ার। মোস্ট ভেল্যুয়েবল প্লেয়ার নির্বাচিত হয়ে মুশফিকুর রহিম পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ১ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমান প্রায় ৮৬ হাজার টাকা।