
আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টানা জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। বিশাল এই জয়ের মধ্য দিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিল টাইগাররা। বাংলাদেশের বেধে দেয়া ৩০৭ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নামা আফগানিস্তানের উদ্বোধনী জুটি জমে ওঠার আগেই ভেঙে যায়। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৯ রানের মাথায় ওপেনার রিয়াজ হাসান সাজঘরে ফিরে যান রানআউটের শিকার হয়ে।





দলীয় ১৬ রানে টাইগারদের দ্বিতীয় সাফল্য আসে শরিফুল ইসলামের হাত ধরে। ৩ বলে ৫ রান করা হাশমতউল্লাহ শাহিদিকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে দেন শরিফুল। দশম ওভারের প্রথম বলেই সাকিব সাজঘরে ফেরত পাঠান আরেক ব্যাটসম্যান আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে।
৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানো আফগানদের হয়ে হাল ধরেন নজিবউল্লাহ জাদরান ও ওপেনার রহমত শাহ। এই দুই ব্যাটসম্যান বড় জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকলে এই জুটি বিচ্ছিন্ন করেন তাসকিন আহমেদ। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ৭১ বলে ৫২ রান করা রহমত শাহকে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান তাসকিন।





রহমতের বিদায়ের পর খুব বেশি সময় থিতু হতে পারেননি নজিবউল্লাহ। ৬১ বলে ৫৪ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে তাসকিন নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন। দেখেশুনে খেলতে থাকা মোহাম্মদ নবি ৩৮ বলে ৩২ রান করে মেহেদি হাসান মিরাজের শিকারে পরিণত হলে দ্রুতগতির রান তুলতে থাকেন রশিদ খান।





২৬ বলে ২৯ রান করা রশিদ খান মুস্তাফিজের শিকারে পরিণত হলে নিচের সারির ব্যাটসম্যানরা আর সুবিধা করতে পারেনি। ইনিংসের ৪৫ ওভার ১ বলেই ২১৮ রানে অলআউট হওয়া আফগানিস্তান ম্যাচ হারে ৮৮ রানের বড় ব্যবধানে।
বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ ও সাকিব আল হাসান ২টি করে এবং মুস্তাফিজ, মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ এবং শরিফুল নেন ১টি করে উইকেট।





এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দলের হয়ে শুরুটা ভালো করতে পারেননি তামিম ইকবাল। টাইগার অধিনায়ক ব্যক্তিগত ১২ ও সাকিব আল হাসান ব্যক্তিগত ২০ রান সাজঘরে ফিরলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম।
লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম এদিন গড়েছেন ২০২ রানের রেকর্ড গড়া জুটি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি হাঁকানো লিটন ১২৬ বলে খেলেন ১৩৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। যেখানে ছিল ১৬টি চার ও ২টি ছক্কা। এছাড়া মুশফিকুর রহিম মাত্র ১৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়ে ৯৩ বল মোকাবেলায় খেলেন ৮৪ রানের ইনিংস। এই দুই ব্যাটসম্যানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩০৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।