ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস না হলেও আফগানদের বিপক্ষে অনবদ্য খেলেছেন টাইগার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। ৮৬ রানের এই ইনিংসটিই তাকে নিয়ে গেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৩ হাজারি ক্লাবে। তিন ফরম্যাটে তার রান এখন ১৩ হাজার ৮। অন্যদিকে তিন সংস্করণ মিলিয়ে চার হাজারি ক্লাবে ঢুকতে লিটন দাসের দরকার আর ৩৫ রান। রশিদ খানদের বিপক্ষে লিটন করেছেন ১৩৬ রান।





আফগান পেসার ফরিদ আহমেদকে কাট করে ডিপ পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে ১৩ হাজারি ক্লাবে ঢুকেন মুশফিক। এ নিয়ে ওয়ানডেতে ৬ হাজার ৬৭০ রান হলো তার। এ ছাড়া টেস্টে ৪ হাজার ৮৭৩ ও টি-টোয়েন্টিতে এক হাজার ৪৬৫ রান করেছেন তিনি। বাংলাদেশের অন্য ব্যাটারদের মধ্যে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১৪ হাজার ১৭৫ রান নিয়ে তামিম ইকবাল সবার শীর্ষে ও ১২ হাজার ৫৫৩ রান নিয়ে সাকিব আল হাসান তিন নম্বরে রয়েছেন।





মুশফিক যতটা পরিশীলিত খেলেছেন তার চেয়েও হয়তো নান্দনিক ছিল লিটনের ইনিংসটি। এমনিতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা উইকেটরক্ষক এই ব্যাটারকে বিশ্বসেরা মানের বলে অভিহিত করেছেন। ওয়ানডে ও টেস্টের বেলায় সেই অভিধা হয়তো আরও কার্যকর। সেটা আফগানদের বিপক্ষেও কিছুটা উপলব্ধি করিয়েছেন তিনি।





রশিদ খানদের বিপক্ষে ১৩৬ রানের ইনিংস দিয়ে ওয়ানডেতে ৫টি শত রানের ইনিংস খেললেন লিটন। ফলে ৪৯ ম্যাচে ওয়ানডেতে লিটনের রান হলো এক হাজার ৪৭২। টেস্টে এক হাজার ৬৪৯ ও টি-টোয়েন্টিতে ৮৪৪ রান করেছেন তিনি। অর্থাৎ তিন ফরম্যাট মিলিয়ে চার হাজারি ক্লাবে যেতে তার দরকার আর ৩৫ রান।
তিন ফরম্যাটে ৩ হাজার ৯৬৫ রান হওয়ায় বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে লিটন উঠে এসেছেন নবম স্থানে। তার সামনে আছেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ আশরাফুল, হাবিবুল বাশার, ইমরুল কায়েস ও মুমিনুল হক।