
স্বাগতিক বাংলাদেশ ও সফরকারী আফগানিস্তানের মধ্যকার দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সিরিজে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ জড়ো করেছে ৩০৬ রান। ‘সাগরিকা’ খ্যাত জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।





‘সাগরিকা’ খ্যাত চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। লিটন দাসের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে এনে দেন ৩৮ রান। ২৪ বলে ১২ রান করে ফজলহক ফারুকির বলে এলবিডব্লিউ হলে ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান।





তবে সাকিবও থিতু হতে পারেননি। রশিদ খানের এলবিডব্লিউর শিকার হওয়ার আগে ২০ রান করেন ৩৬ রানের মোকাবেলায়। দলীয় ৮৩ রানে সাকিব ফিরলে দলের হাল ধরেন লিটন ও চার নম্বরে নামা মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেটে দুজনে গড়েন ২০২ রানের পার্টনারশিপ, যা দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপের রেকর্ড। অনিন্দ্য সুন্দর এই জুটি ভাঙে লিটনের বিদায়ে। তার আগে তুলে নেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম শতক। ১২৬ বলের মোকাবেলায় ১৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৩৬ রান করেন লিটন।





লিটন ছাড়া কেউ অবশ্য ছক্কা হাঁকাতে পারেননি। তবে মুশফিকুর রহিম ছিলেন বেশ উজ্জ্বল। যদিও হাতছাড়া করেছেন শতকের সুবর্ণ সুযোগ। লিটন বিদায় নেওয়ার পরের বলে তিনিও ফরিদ আহমেদের শিকার হন। তবে তার আগে ৮৬ রান করেন ৯৩ বলের মোকাবেলায়, হাঁকান ৯টি চার। লিটন ও মুশফিকের বিদায়ে রানের গতি শ্লথ হয়ে যায়। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩০৬ রান। শেষ ২১ বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব সংগ্রহ করতে পেরেছেন ২১ রান। রিয়াদ ৯ বলে ৬ ও আফিফ ১২ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।





এতদিন সাগরিকায় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ২৯৭। লিটন-মুশফিকের রেকর্ড গড়া জুটিতে ভর করে টাইগাররা সেই রেকর্ডই ভেঙেছে। প্রসঙ্গত, ৮৬ রানের ইনিংস খেলার পথে দ্বিতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৩ হাজার রানের মালিক হয়েছেন মুশফিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস : বাংলাদেশ
বাংলাদেশ : ৩০৬/৪ (৫০ ওভার)
লিটন ১৩৬, মুশফিক ৮৬, সাকিব ২০
ফরিদ ৫৬/২, রশিদ ৫৪/১
জয়ের জন্য আফগানিস্তানের প্রয়োজন ৩০৭ রান।