
৮, ১০, ৩ এবং ৮ – এটি ছিল তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ইনিংস। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে এই চার সিনিয়র ব্যাটসম্যানের সম্মিলিত অবদান ছিল ২৯ রান। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। এমনকি ৭ বল হাতে নিয়েও।





আর এটি সম্ভব হয়েছে দুই তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মেহেদি হাসান মিরাজের কল্যাণে। টপ-মিডল অর্ডারের দুই তরুণ লিটন দাস (১) ও ইয়াসির আলি রাব্বি (০) হতাশ করলেও, লোয়ার অর্ডারের দুই তরুণ ১৭৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে নিয়ে গেছেন জয়ের বন্দরে।





আফিফ-মিরাজের এমন ব্যাটিং দেখে যারপরনাই খুশি দলের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স। তার বিশ্বাস, সামনে তরুণদের ব্যাট থেকে এমন আরও ইনিংস দেখা যাবে। এক ভিডিওবার্তায় এ বিষয়ে কথা বলেছেন সিডন্স। তিনি বলেন, ‘আমরা জয় দিয়েই শুরু করেছি। শেষ দিকে গিয়ে সহজ জয়ই পেয়েছি। তবে শুরুতে আমরা চল্লিশের ঘরে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলি, যা ব্যাটিং কোচ হিসেবে আমার জন্য ভালো কিছু নয়।’





সিডন্স আরও যোগ করেন, ‘দুই তরুণ আফিফ ও মিরাজ ১৬০ (১৭৪) প্লাস রানের জুটি গড়ে ১০-১৫ বল (৭ বল) আগেই আমাদের জয় এনে দিয়েছে। সিরিজের শুরুতেই দারুণ এক জয়। ছেলেরা গত রাতে যেভাবে খেললো, অসাধারণ ছিল। আমি নিশ্চিত তরুণদের কাছ থেকে এমন আরও অনেক ইনিংস দেখা যাবে।’





তরুণদের ভূয়সী প্রশংসা করলেও সিনিয়রদের সামর্থ্যের কথা মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি সিডন্স। তিনি মনে করেন, সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরাই বাংলাদেশের তারকা। এ সিরিজেই তারা ঘুরে দাঁড়াবেন বলে বিশ্বাস টাইগারদের ব্যাটিং পরামর্শকের। তার বিশ্বাস, শুক্রবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই হয়তো তা করে দেখাবেন সিনিয়ররা।
এ বিষয়ে সিডন্স বলেছেন, ‘সিনিয়ররাও এগিয়ে আসবে। তারাই বাংলাদেশ ক্রিকেটের তারকা। সাকিব, তামিম, মুশফিক, রিয়াদরা সিরিজের কোনো না কোনো সময় জ্বলে উঠবে। আমি আশা করি সেটি আগামীকালই হবে। আজকে ছেলেদের সঙ্গে ভালো সেশন ছিল। আগামীকালের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত।’