
আফগানিস্তান সিরিজ থেকে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে যোগ দিয়েছেন জেমি সিডন্স। বাংলাদেশ দলের সাবেক এই কোচের সঙ্গে তামিম-সাকিবদের সম্পর্ক বেশ পুরোনো।





সঙ্গে দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ তো আছেনই। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ডোমিঙ্গো কীভাবে মানিয়ে নেন, সেদিকে ছিল সবার আগ্রহ।





আজ জাতীয় দলের ঐচ্ছিক অনুশীলনের ফাঁকে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে ডোমিঙ্গোকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলছিলেন, ‘সিডন্স অনেক অভিজ্ঞ কোচ। সারা বিশ্বে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রক্রিয়াটাও জানেন। এই ক্রিকেটারদের আমার চেয়েও হয়তো ভালো চেনেন তিনি। তাকে আমাদের সঙ্গে পাওয়া তাই ভালো খবর। তিনি কোচিং স্টাফদের মধ্যে অনেক অভিজ্ঞতা যোগ করবেন।’





মাহমুদ থাকাতেও ডোমিঙ্গোর কাজ নাকি অনেকটাই সহজ হয়েছে। ডোমিঙ্গো বলেন, ‘আমার আর বোর্ডের যোগসূত্র হচ্ছেন চাচা (খালেদ মাহমুদ)। আমরা দল নির্বাচন, একাদশ, টস বা অন্যান্য বিষয় নিয়ে কী ভাবছি—এসব ব্যাপারে বোর্ডের সঙ্গে চাচা যোগাযোগ করেন। আমাকে বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয় না। আমি আমার কাজেই ব্যস্ত থাকি। আমি এসব নিয়ে ভাবতেই চাই না। সেদিক থেকে চাচা থাকায় আমার অনেক সুবিধা হয়। তিনি আমার চাপ কমিয়ে দিচ্ছেন।’





আফগানিস্তান সিরিজের প্রস্তুতির প্রথম দিন মাহমুদ ও সিডন্স না থাকায় অনুশীলনের সময়টা খুব ব্যস্ততায় কেটেছে ডোমিঙ্গোর। করোনাবিধির কারণে সিডন্স সেদিন দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি। মাহমুদ এক দিন বিশ্রাম নিয়ে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। যে কারণে প্রথম দিনের অনুশীলনটা রাসেল ও স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ মিলেই সামলেছেন। পরে সিডন্স ও মাহমুদ যোগ দেওয়ায় ডোমিঙ্গোর কাজের চাপ কিছুটা হলেও কমেছে।