
গত বছর সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশের একটি দলও এতে অংশ নেয়। তবে সম্প্রতি গুঞ্জন উঠেছিল যে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বকেয়া আছে এবং টুর্নামেন্ট নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে।





তবে অবশেষে বাংলাদেশের সব ক্রিকেটারই রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজের পারিশ্রমিক বুঝে পেয়েছেন। এমনকি টুর্নামেন্টের আগামী আসরগুলোতেও অংশ নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তারা।





বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক পরিশোধ না করার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে ভারতকে গত আসরে নেতৃত্ব দেওয়া কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন বলে খবর প্রচার করে ভারতীয় গণমাধ্যম। বিষয়টি তোলপাড় সৃষ্টি করে আয়োজকদের মধ্যে। এরপর দ্রুতই পরিশোধ করা হয়েছে সব ক্রিকেটারের বকেয়া পারিশ্রমিক।





জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে জাতীয় দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল বলেন, ‘পারিশ্রমিক নিয়ে কিছু জটিলতা ছিল। কোভিড পরিস্থিতি ও সবকিছু বুঝতে পারছি। আমরা আমাদের পুরো পারিশ্রমিক বুঝে পেয়েছি। পরের মৌসুমের জন্য শুভকামনা রইল।’
সাবেক অধিনায়ক রাজিন সালেহ আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, করোনাকালে পারিশ্রমিক দিতে একটু দেরি হলেও পরের মৌসুমে খেলার সুযোগ পেলে হাতছাড়া করতে চান না তিনি।





রাজিন বলেন, ‘সাবেকদের জন্য এটা দারুণ এক টুর্নামেন্ট ছিল। আয়োজনও দারুণ ছিল। পারিশ্রমিক নিয়ে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে তারা সব পারিশ্রমিক পরিশোধ করে দিয়েছে। আগামী আসরেও সুযোগ পেলে খেলতে চাই।’
বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের দাবি, তারা পারিশ্রমিক না পাওয়ার বিষয়টি তারা নিজ থেকে কোনো গণমাধ্যমকে অবহিত করেননি। তাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পারিশ্রমিক পরিশোধ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেই গ্রুপে ছিলেন টুর্নামেন্ট ও ক্রিকেটারদের সেতুবন্ধনের ভূমিকায় থাকা এজেন্টও।





বাংলাদেশ লিজেন্ডসের হয়ে অংশ নেওয়া ক্রিকেটার মোহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘আমাদের চুক্তি হয়েছে এজেন্টের মাধ্যমে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সেই এজেন্ট ছিল। অনেকে ২৫ বা ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক পেয়েছিল, আমি তখন এক পয়সাও পাইনি। স্বাভাবিকভাবেই একটু মন খারাপ ছিল।’
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে গল্পচ্ছলে বেরিয়ে আসে পারিশ্রমিক না পাওয়ার বিষয়টি, এমন দাবি করে শরীফ আরও বলেন, ‘শীর্ষস্থানীয় ম্যানেজমেন্টের কেউ রাগ করে থাকলে দুঃখিত। দ্বিতীয় আসর খেলার অনেক ইচ্ছা আছে।