২৮ রানের মধ্যে প্যাভিলিয়নে তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম এবং ইয়াসির আলী। দল তখন চরম বিপর্যয়। অনেকেই তখন মনে করছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে কি তাহলে সর্বনিম্ন রানে অল আউট হবে বাংলাদেশ।





মুখের কথায় মুখে থাকতেই দলীয় ৪৫ রানের মাথায় বিদায় নেন অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ৪৫ রানে নেই ৬ উইকেট। সবাই যখন লজ্জার পরাজয় দেখার অপেক্ষা করছে তখন রুখে দাঁড়ালেন দুই তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব আর মেহেদি হাসান মিরাজ।





সপ্তম উইকেটে ২২৫ বলে ১৭৪* রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচটি বাংলাদেশকে জিতিয়ে দিলেন ৪ উইকেটে। ১২০ বলে ৯ চারে ৮১* রানে অপরাজিত থাকেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং আফিফ অপরাজিত থাকেন তার ক্যারিয়ার সেরা ১১৫ বলে ১১ চার ১ ছক্কায় ৯৩ রানে।
আর নিজের এই ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেছেন মুশফিকুর রহিমের ব্যাট দিয়ে। গতকাল আফিফ হোসেন যে ব্যাটটি দিয়ে খেলছিলেন সে ব্যাটটি আসলে মুশফিকুর রহিমের। ব্যাটটি গায়ে লেখা রয়েছে মুশফিকুর রহিমের নাম MR15। যেটি মুশফিকুর রহিমের ব্যাটের উপর সব সময় লেখা থাকে।





তাঁর ব্যাট দিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজকে সাথে নিয়ে করেছেন বিশ্ব রেকর্ড। রান তাড়ায় থাকা দলের পক্ষে সপ্তম উইকেটে তাদের জুটি এখন বিশ্বের সর্বোচ্চ। এর আগের রেকর্ডটি ছিল ইংল্যান্ডের জস বাটলার ও ক্রিস ওকসের। ২০১৬ সালে নটিংহ্যামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তারা দুজন ১৩৮ রানের জুটি গড়েছিলেন।





যেটি ওয়ানডেতে যেকোনো ইনিংসে সপ্তম উইকেটে এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে কখনোই রান তাড়ায় এত কম রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ম্যাচ জেতেনি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে সপ্তম উইকেট থেকে পরবর্তী যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর মাহমুদউল্লাহর। ২০১৩ সালে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনি ৭৩ বলে অপরাজিত ৭৫ রান করেছিলেন।





আজ সেই রেকর্ডটি নিজের করে নিলেন মিরাজ। রান তাড়ায় নেমে জয় পাওয়া ম্যাচের সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি ছিল ৪৯ রানের। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহ ও নাঈম ইসলামের ওই জুটি গড়েন। ম্যাচটিতে ৩ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ।