
বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রতিনিয়ত দেখা যায় আফিফ হোসেনকে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ৩৯ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন আফিফ হোসেন। কিন্তু ওয়ানডে ক্রিকেটে এখনো ধারাবাহিক হয়ে উঠতে পারেননি আফিফ। ২০২০ সালে সিলেটের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয় আফিফ হোসেনের।





ওই ম্যাচে মাত্র ৭ রান করার পর আর ওয়ানডে ক্রিকেটে ফেরা হয়নি তার। প্রায় এক বছর বিরতির পর গত বছর ঘরের মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে আবারও সুযোগ পান তিনি। সেই থেকেই বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলে খেলছেন আফিফ হোসেন। গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে সহ এখন পর্যন্ত আটটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন আফিফ হোসেন। আর সেখানেই ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ৯৩* রানের ইনিংস খেলে দলকে অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচ জেতাতে অবদান রেখেছেন আফিফ হোসেন।





টপা টপ উইকেট পড়ার পর অনেকটাই সঙ্গীহীন হয়ে পড়েন আফিফ হোসেন। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তারা দুজনের যেকোনো একজন আউট হন এই ম্যাচ তখনই হেরে যেত বাংলাদেশ। কারণ তাদের পর আর কোন স্বীকৃত ব্যাটসম্যান নেই একাদশে। তাসকিন আহমেদ কিছুটা পারলেও ব্যাটিং তেমন একটি পারেননা মুস্তাফিজুর রহমান এবং শরিফুল ইসলাম। তাইতো ৪৫ রানের ৬ উইকেট হারানোর পর কি পরিকল্পনা করেছিলেন আফিফ হোসেন এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। ম্যাচ শেষে আফিফ হোসেন জানিয়েছেন তেমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না তাদের দুজনের। লক্ষ্য ছিল শুধু একটাই যতক্ষণ উইকেটে পারা যায় টিকে থাকা।





ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আফিফ হোসেন বলেন, “৬ টা উইকেট পড়ার পর আমাদের শুধু একটা লক্ষ্য ছিল উইকেট না দিয়ে যতক্ষণ কাটানো যায়। প্রথম থেকে আমাদের লক্ষ্য একটাই ছিল যে উইকেট দেবো না, রান যা আসে। শেষের দিকে তো খেলা বল টু বল ছিল।” মাঠে বোলাদের নিয়ে আলাদা কোনো পরিকল্পনা ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ওদের যে ৩ জন স্পিনার ছিল তাদের বিপক্ষে পরিকল্পনা ছিল নরমাল খেলা। এদের ওভার শেষ হলে ৫ ওভার বাকি থাকতো। ওই ৫ ওভারে যদি ৩০-৪০ বা ৫০ রানও লাগে আমরা চেষ্টা করবো। আমরা যেন শেষ করতে পারি।”





ইনিংসের ৩৫ তম ওভারের শেষ বলে ইয়ামিনকে স্কয়ার লেগে পুল করে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি করেন মিরাজ। ৮১ রানে থাকেন অপরাজিত। মিরাজের সঙ্গে কি কথা হয় আফিফের? জানাতে চাওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।
আফিফ বলেন, “মিরাজ ভাই অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে। যখন অনেকগুলো ডট হয়ে গেছে তখন বাউন্ডারি এসেছে। এ ছাড়া সব মিলিয়ে দুজনের কথা অনেক ভালো হচ্ছিল। দুজনেই বুঝতে পারছিলাম যে উইকেট না দিলে সম্ভব ম্যাচটা জেতা যাবে। ড্রেসিং রুম থেকে একটা বার্তাই ছিল যে আমরা যেভাবে যাচ্ছিলাম সেভাবেই যেন যাই। উইকেট না দিয়ে, উইকেট যেনো হাতে রাখি। আমরা দুজন যদি উইকেটে থাকি ম্যাচটা জেতা সম্ভব।”