
আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং দেখে হয়তো আপনি মনে করতে পারেন তারা ব্যাটিং করাটাই ভুলে গেছে। ফজলহক ফারুকির বোলিংয়ে খড়কুটোর মতো উড়ে গেছে দুই ওপেনার ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল এবং লিটন দাস।





শুধু তাই নয় ২৭ রানের মধ্যে প্যাভিলিয়নে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম এবং ইয়াসির আলী। দল তখন চরম বিপর্যয়। অনেকেই তখন মনে করছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে কি তাহলে সর্বনিম্ন রানে অল আউট হবে বাংলাদেশ।





মুখের কথায় মুখে থাকতেই দলীয় ৪৫ রানের মাথায় বিদায় নেন অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ৪৫ রানে নেই ৬ উইকেট। সবাই যখন লজ্জার পরাজয় দেখার অপেক্ষা করছে তখন রুখে দাঁড়ালেন দুই তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব আর মেহেদি হাসান মিরাজ।





সপ্তম উইকেটে ২২৫ বলে ১৭৪* রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচটি বাংলাদেশকে জিতিয়ে দিলেন ৪ উইকেটে! আফিফ ১১৫ বলে ১১ চার ১ ছক্কায় ৯৩* আর মেহেদি মিরাজ ১২০ বলে ৯ চারে ৮১* রানে অপরাজিত থাকেন।





এই স্মরণীয় ব্যাটিংয়ে বিশ্বরেকর্ডও গড়েছেন আফিফ-মিরাজ। রান তাড়ায় থাকা দলের পক্ষে সপ্তম উইকেটে তাদের জুটি এখন বিশ্বের সর্বোচ্চ। এর আগের রেকর্ডটি ছিল ইংল্যান্ডের জস বাটলার ও ক্রিস ওকসের। ২০১৬ সালে নটিংহ্যামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তারা দুজন ১৩৮ রানের জুটি গড়েছিলেন।





যেটি ওয়ানডেতে যেকোনো ইনিংসে সপ্তম উইকেটে এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে কখনোই রান তাড়ায় এত কম রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ম্যাচ জেতেনি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে সপ্তম উইকেট থেকে পরবর্তী যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর মাহমুদউল্লাহর। ২০১৩ সালে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনি ৭৩ বলে অপরাজিত ৭৫ রান করেছিলেন।





আজ সেই রেকর্ডটি নিজের করে নিলেন মিরাজ। রান তাড়ায় নেমে জয় পাওয়া ম্যাচের সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি ছিল ৪৯ রানের। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহ ও নাঈম ইসলামের ওই জুটি গড়েন। ম্যাচটিতে ৩ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ।