
আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফিফ হোসেন ধ্রুবর ব্যাটিংকে হয়ত নানা বিশেষণে বিশেষায়িত করা যেতে পারে। তবে যে বিশেষণই দেয়া হোক না কেন তা যে কম হবে এটা জলের মতই পরিস্কার।





দলের বিপর্যয় সামাল দিয়ে ব্যাট হাতে লড়াই করে যাওয়ার যে মন্ত্র বাংলাদেশ দলের ম্যাচে সচরাচর দেখা মিলে না তার দৃষ্টান্ত নতুন করে দেখালেন আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মেহেদি হাসান মিরাজ।





আফগানদের বেধে দেয়া ২১৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা টাইগাররা দলীয় ১৪ রানে টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যানকে হারানোর পর যে সাময়িক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছিল তা তীব্র আকার ধারন করে দলীয় ২৮ রানে ৫ উইকেট পড়ে গেলে। সবশেষ সেই ভারটা আরও বেড়ে যায় ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে। তবে কে জানত বাংলাদেশ দলের হয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই ছিলেন আউট হয়ে যাওয়া শেষ ব্যাটসম্যান।





মেহেদি হাসান মিরাজের সাথে এদিন আফিফ হোসেন ধ্রুব শুরুটা করেছিলেন কিছুটা ধীরগতির। সিনিয়রদের ব্যর্থতার পর নতুনরা কিভাবে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হয় সেটি পই পই করে বুঝিয়ে দিয়েছেন এই দুই ব্যাটসম্যান।





সপ্তম উইকেট জুটিতে মেহেদি হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব গড়েন অপরাজিত ১৭৪ রানের জুটি। দুই ব্যাটসম্যানই সমান তালে রান তুলেছিলেন এদিন। ৬৩ বলে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক হাঁকানো আফিফ এদিন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১১৫ বল মোকাবেলা করে ৯৩ রানে।
মাত্র ৭ রানের জন্য শতক বঞ্চিত হওয়া আফিফ এদিন উইকেটে টিকে ছিলেন ১৮৭ মিনিট। ৮০.৮৬ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করা আফিফ হোসেন ধ্রুব এই ৯৩ রানের ইনিংসে হাঁকিয়েছেন ১১টি চার ও ১টি ছক্কা।





এদিকে ব্যাট হাতে দলের জয়ে এমন অবদান রাখার পর ম্যাচের মোস্ট ভেল্যুয়েবল প্লেয়ার নির্বাচিত হয়েছেন আফিফ। এর পুরস্কার হিসেবে তিনি পেয়েছেন ১ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমান দাঁড়ায় প্রায় ৮৬ হাজার টাকা।