
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচ সিরিজে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.১ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান সংগ্রহ করেছে আফগানিস্থান। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই মোস্তাফিজুর রহমানের করা বলে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ। আউট হওয়ার আগে করেন ৭ রান।





এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে থাকেন রহমত শাহ এবং ইব্রাহিম জাদরান। এ সময় দুজন মিলে তুলেন ৪৫ রান। শরিফুল ইসলামের করা বলে রাব্বি স্লিপে ক্যাচ তুলে নিয়ে সাজঘরে ফেরেন ইব্রাহিম। তার সংগ্রহ ১৯ রান। এদিকে আপনতালে খেলতে থাকা রহমত শাহ তাসকিন আহমেদের বলে কটবিহাইন্ড হন ব্যক্তিগত ৩৪ রানে। আর মোহাম্মদউল্লাহর বলে সাজঘরে ফেরার আগে ২৮ রান তুলেন দলনেতা শহিদী।





একশর মধ্যেই চার উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপেই পড়ে আফগানরা। এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ নবি এবং নাজিবুল্লাহ জাদরানের ৬৩ রানে জুটিতে চাপ সামলে কিছুটা বাড়ে দলীয় স্কোর। তাদের জুটি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগেই সেটি ভাঙলেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। ২০ রানে আউট হন নবি।





অবশেষ নিজের নবম ওভারে এসে উইকেটের দেখা পেলেন সাকিব। একই ওভারে ফেরালেন গুলবাদিন নাঈব ও রশিদ খানকে। তৃতীয় বলে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন গুলবাদিন। বল ব্যাট মিস করে লাগে পায়ে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি।





২১ বলে ১৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। রশিদ খান বুঝতেই পারেননি সাকিবের ফ্লাইটেড ডেলিভারি। নিমিষেই ভেঙে দেয় উইকেট। সাজঘরে ফেরেন ০ রানে। তবে অন্য প্রান্ত থেকে একাই লড়াই করে যাচ্ছিলেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। তবে তাকে থামিয়ে দেন শরিফুল ইসলাম। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ৮৪ বলে ৬৭ রান করেন তিনি।





বাংলাদেশের বোলারদের পারফরম্যান্স
তাসকিন আহমেদ ১০-০-৫৫-২
সাকিব আল হাসান ৯-১-৫০-২
মেহেদী হাসান মিরাজ ১০-৩-২৮-০
মুস্তাফিজুর রহমান ৯.১-০-৩৫-৩
শরিফুল ইসলাম ১০-১-৩৭-২
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১-০-৪-১
বাংলাদেশ একাদশ : তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলী, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তান একাদশ : রহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইবরাহীম জাদরান, রহমত শাহ, হাসমতুল্লাহ শাহিদি, নাজিবুল্লাহ জাদরান, গুলবাদিন নাইব, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, ইয়ামিন আহমদজাই ও ফজল হক ফারুকি।