
মেহেদি হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন ধ্রুবের দুর্দান্ত জুটি আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে জিততে সাহায্য করেছে বাংলাদেশকে। ১৮ রানের মধ্যে তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের উইকেট হারায় টাইগাররা।





সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা করলেও তারাও আফগান পেসার ফজল হক ফারুকির বোলিংয়ের কাছে পরাস্ত হয়ে ফিরে যান। ৪৫ রানের মধ্যে আরও দুই উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ অল্প রানেই অল আউট হওয়ার ক্ষণ গুনছিল।





সেখান থেকেই অতিমানবীয় এক জুটি গড়ে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন মিরাজ-আফিফ। এই দুজনের ১৭৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের ইতিহাস সেরা। এশিয়ার আর কোনো দলেরও সপ্তম উইকেটে এতো বড় জুটি নেই। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানিয়েছেন, দ্রুত ৬ উইকেট হারানোর পর ২১৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয় পাবেন সেটা তিনি কল্পনাতেও ভাবেননি। যদিও দুই তরুণদের ব্যাটে বাংলাদেশের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে বলে বিশ্বাস টাইগার ওপেনারের। তারা ভবিষ্যতে আরও অনেক ম্যাচ জেতাবেন বলে আশা তার।





তামিম বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে না। আমি এটা ভাবিওনি। সত্যিই আমি এটা বিশ্বাস করিনি আমরা জিতবো। ৪৫ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর ২১৫ (২১৬) রান তাড়া করা খুবই কঠিন। আমি খুবই খুশি। শুধু জয় পেয়েছি বলতে নয়, তারা যেভাবে খেলেছে সেটা অবিশ্বাস্য। এটা বর্ণনা করার মতো ভাষা নেই আমার কাছে। আমি খুবই খুশি এবং গর্বিত।’





আফগান স্পিনারদের আফিফ-মিরাজরা যেভাবে সামাল দিয়েছেন তার প্রশংসা করেছেন তিনি, ‘হ্যাঁ, এটা সহজ না। আমি সবসময় বলি তাদের বোলিং অ্যাটাক দারুণ। বিশেষ করে স্পিন অ্যাটাকটা। তারা (আফিফ-মিরাজ) যেভাবে এটা মানিয়ে নিয়েছে এটা দেখার মতো। আমি আশা করি এটাই শেষ নয়, এটা তাদের জন্য কেবল শুরু। তারা আমাদের আরও অনেক ম্যাচ জেতাবে। খুবই খুশি এবং গর্বিত।’ এই ম্যাচে মিরাজের ব্যাট থেকে এসেছে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস। আর ৮ ওয়ানডে খেলা আফিফ নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরিটিই স্মরণীয় রাখলেন। শুরুতে একের পর এক উইকেট হারিয়ে যেখানে হারের দুঃস্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে ৭ বল হাতে রেখেই বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেছেন আফিফ-মিরাজ।