সাও পাওলোতে গত বছর সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৭ মিনিটের মাথায় করোনা বিধিনিষেধ ভাঙায় আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড়কে ধরতে মাঠে ঢুকে পড়েন ব্রাজিলের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।





খেলোয়াড় ও স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তাদের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। অভূতপূর্ব এই কাণ্ডের জন্য স্থগিত হয় ম্যাচ। ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা সোমবার ম্যাচটা পুনরায় খেলার নির্দেশ দিয়েছে।
ফিফার বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিভিন্ন বাস্তবিক বিষয় তদন্তের প্রেক্ষিতে ফিফার শৃঙ্খলা কমিটি মনে করছে ম্যাচটা পুনরায় খেলা উচিত। ম্যাচের তারিখ এবং কোথায় অনুষ্ঠিত হবে তা ঠিক করবে ফিফা।’





দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্ব(কনমেবল) থেকে এ বছর কাতার বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। ১০ দলের এই বাছাইপর্বে শীর্ষ দুটি স্থান ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার জন্য নিশ্চিত। গত সেপ্টেম্বরে পণ্ড হওয়া সেই ম্যাচসহ দুই দলের হাতেই আর তিনটি করে ম্যাচ আছে। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্ব থেকে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ চার দল সরাসরি কাতার বিশ্বকাপে খেলবে।





সেপ্টেম্বরে স্থগিত হওয়া সেই ম্যাচে আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়দের করোনা বিধিনিষেধ না মানার বিষয়ে ব্রাজিলের জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগের (আনভিসা) পক্ষ থেকে বলা হয়, কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ ভাঙার জন্য ইংলিশ ক্লাবে খেলা চার আর্জেন্টাইন ফুটবলারকে ‘তাৎক্ষণিকভাবে কোয়ারেন্টিন’ করতে হবে।
ব্রাজিলে ঢোকার জন্য আর্জেন্টিনা দলের ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, জিওভান্নি লো সেলসো ও এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া ‘মিথ্যা তথ্য’ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ।





ফিফার বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দুই পক্ষের যার যার দায়-দায়িত্ববোধে ঘাটতিই ম্যাচ স্থগিত হওয়ার উৎস।’ চার আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়কে দুই ম্যাচ করে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা।
ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ফুটবল ফেডারেশনকে যথাক্রমে ৫ লাখ ও ২ লাখ সুইস ফ্রাঁ জরিমানা করা হয়েছে। আর ম্যাচ স্থগিত হওয়ার জন্য দুই দেশের ফেডারেশনকে একসঙ্গে ৫০ হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানা করা হয়।,