
সিলেট সানরাইজার্সকে হারিয়ে তৃতীয় দল হিসেবে প্লে অফ নিশ্চিত করল চট্টগ্রাম চেলেঞ্জার্স। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রাম চেলেঞ্জার্স সিলেটকে হারিয়েছে ৪ উইকেটের ব্যবধানে। এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামা সিলেট সানরাইজার্স শুরুটা ভালো করে কলিন ইনগ্রাম ও এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে। উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান তোলার পর এনামুল সাজঘরে ফিরে যান ব্যক্তিগত ২৬ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে।





মিজানুর রহমান রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরলে লেন্ডল সিমন্সকে সাথে নিয়ে দলীয় স্কোর ১০০ পর্যন্ত নিয়ে যান এনামুল। ২৭ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে সিমন্স বিদায় নিলে খানিক সময় পর সাজঘরের পথ ধরেন ২৬ বলে ৩২ রান করা এনামুল।
রবি বোপারার ২১ বলে ৪৪ রানের ঝড়ের সাথে ২২ বলে মোসাদ্দেকের অপরাজিত ৩৫ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রানের বড় পুঁজি পায় সিলেট।





১৮৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা চট্টগ্রাম চেলেঞ্জার্সের টপ অর্ডারে সুবিধা করতে পারেনি জাকির হাসান ও অধিনায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুব। তবে ব্যাট হাতে দলকে একাই টেনে নিয়ে যান দুর্দান্ত ফর্মে থাকা উইল জ্যাকস।
মিডল অর্ডারে চ্যাডউইক ওয়াল্টনের ২৩ বলে ৩৫ রানের ইনিংসের সাথে ৭ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন শামিম হোসাইনও। শেষ পর্যন্ত উইল জ্যাকসের ৫৭ বলে অপরাজিত ৯২ রানে ভর করে ৪ উইকেটের জয় পায় চট্টগ্রাম।





এই জয়ের পর দলটির অধিনায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুব কৃতিত্ব দিয়েছেন দলের ব্যাটসম্যান উইল জাকসকে। সেই সাথে আরেক ব্যাটসম্যান চ্যাডউইক ওয়াল্টনের প্রশংসাও ভেসে আসে অধিনায়ক আফিফের কন্ঠে। ম্যাচ শেষে আফিফ বলেন, ‘’জ্যাকস আজকে সত্যিই অসাধারণ খেলেছে। তারা স্কোরবোর্ডে ভালো একটা সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল। আজকে জ্যাকসের সাথে ওয়াল্টনও ভালো করেছিল। আমাদের নিজেদের উপর বিশ্বাস ছিল।‘’