প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের তিন দশকের শিরোপা খরা দূর করার নায়কদের একজন তিনি। দলটির হয়ে জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগও। তবে দেশের হয়ে ছিল না কোনো অর্জন। আফ্রিকান নেশন্স কাপ জয়ের মধ্য দিয়ে অবশেষে সেই শূন্যতা ঘুচল। সাদিও মানের কাছের দিনটি তাই জীবনের সেরা। আর এই সাফল্য? বললেন, নিশ্চিতভাবেই তার ক্যারিয়ারের সেরা অর্জন।
ক্যামেরুনের ওলেম্বে স্টেডিয়ামে রোববার রাতে সেনেগাল ও মিশরের মধ্যকার ফাইনালটি নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটও গোলশূন্য থাকলে গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৪-২ গোলে জিতে প্রথমবারের মতো প্রতিযোগিতাটির শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে মানের দল।
নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে মানে বলেন, ক্লাব পর্যায়ে জেতা সব অর্জনের চেয়ে প্রাপ্তির তালিকায় এটিই তার কাছে সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে। দেশকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসাতে পেরে উচ্ছ্বসিত মানে বলেন, ‘এটা আমার জীবনের সেরা দিন এবং আমার ক্যারিয়ারের সেরা ট্রফি।’
মানে আরো বলেন, ‘আমি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও আরও কয়েকটি ট্রফি জিতেছি। কিন্তু এটি (আফ্রিকান নেশন্স কাপ) আমার কাছে বিশেষ কিছু। এটি আমার জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ। নিজের জন্য, আমার দেশের মানুষের জন্য এবং আমার পরিবারের সবার জন্য আমি খুশি।’
ম্যাচের শুরুটা যদিও সুখকর ছিল না মানের ও সেনেগালের। সপ্তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মিশর গোলরক্ষক আবু গাবাল ঠেকিয়ে দেন তার বুলেট গতির স্পট কিক।
ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ালে মানের সামনে সুযোগ আসে প্রথম ভুল শোধরানোর। এবার আর তাকে আটকাতে পারেননি আবু গাবাল। মানের নেওয়া শেষ শটেই নিশ্চিত হয় ২০০২ ও ২০১৯ আসরের রানার্সআপ সেনেগালের শিরোপা জয়।