দল গঠনের সময় সিলেট সানরাইজার্সের কার্যক্রম দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই। সামর্থ্য আর দক্ষতা নিয়ে সন্দেহ নেই, কিন্তু নানা সময়ে পারফরম্যান্সের কারণে থাকতে হয়েছে সমালোচনার কেন্দ্রে- বেছে বেছে যেন এমন সব ক্রিকেটারকেই দলে ভিড়িয়েছে সিলেট।





তবে বড় নামের কারণে অষ্টম বিপিএলে নিজেদের শক্তিশালী দল দাবি করতেই পারে চা-প্রসিদ্ধ এলাকার দলটি। আগামী ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে সিলেট অংশ নেবে ঘরোয়া ক্রিকেটের সেরা পারফর্মারদের নিয়ে।
তাসকিন আহমেদের মত সময়ের সেরা এক তারকাকে ডিরেক্ট সাইনিংয়ে দলে নিয়ে সিলেট অবশ্য প্রথমেই চমক সৃষ্টি করে। সেই সাথে বেছে নেওয়া হয় শ্রীলঙ্কার দীনেশ চান্দিমা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেসরিক উইলিয়ামস ও দক্ষিণ আফ্রিকার কলিন ইনগ্রামকে।





প্লেয়ার্স ড্রাফটে সিলেট দলে ভেড়ায় মোসাদ্দেক হোসেন সইক, মোহাম্মদ মিঠুন, মুক্তার আলী, এনামুল হক বিজয়ের মত ক্রিকেটারদের, যারা জাতীয় দলে যাওয়া-আসার মধ্যে থাকলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিতই ভালো করছেন। এছাড়া সিলেট ভরসা রেখেছে আল আমিন হোসেন, নাজমুল ইসলাম অপু, সোহাগ গাজী, অলক কাপালি, মিজানুর রহমান, নাদিফ চৌধুরী, শফিউল হায়াত হৃদয়ের ওপর।





লেগ স্পিনার নিতে অন্য দলগুলোর যেখানে অনীহা ছিল সেখানে সিলেট ড্রাফট থেকেই বেছে নেয় জুবায়ের হোসেন লিখনকে। প্লেয়ার্স ড্রাফটের পর সিলেট দলে নেয় লেন্ডল সিমন্স ও ডেভন থমাসকে। মারকুটে ব্যাটিংয়ের জন্য সিমন্সের খ্যাতি থাকলেও গত বিশ্বকাপে ছিলেন ম্লান। থমাস বলতে গেলে কখনই টি-টোয়েন্টির দাবি মিটিয়ে ধারাবাহিকভাবে খেলতে পারেননি।





তবে নিজেদের দিনে জ্বলে উঠলে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার সামর্থ্য ক্যারিবিয়ানদের আছে, তা কারও অজানা নয়। প্লেয়ার্স ড্রাফটে চতুর্থ সর্বোচ্চ ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা খরচ করা সিলেট তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ২২ জানুয়ারি, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে। আসরের তিনটি ম্যাচ তারা খেলবে হোম ভেন্যু সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
একনজরে সিলেট সানরাইজার্সের স্কোয়াড সরাসরি চুক্তি তাসকিন আহমেদ, দীনেশ চান্দিমাল (শ্রীলঙ্কা), কেসরিক উইলিয়ামস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), কলিন ইনগ্রাম (দক্ষিণ আফ্রিকা)।





ড্রাফট থেকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ মিঠুন, আল আমিন হোসেন, নাজমুল ইসলাম অপু, রবি বোপারা (ইংল্যান্ড), অ্যাঞ্জেলো পেরেরা (শ্রীলঙ্কা), এনামুল হক বিজয়, সোহাগ গাজী, অলক কাপালি, মুক্তার আলী, সিরাজ আহমেদ (সংযুক্ত আরব আমিরাত), মিজানুর রহমান, নাদিফ চৌধুরী, জুবায়ের হোসেন লিখন, শফিউল হায়াত হৃদয়। ড্রাফটের পর লেন্ডিল সিমন্স (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ও ডেভন থমাস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।