
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় শীর্ষে আছেন সাকিব আল হাসান। তালিকার সেরা দশের দিকে তাকালে দেখা যায়, ফাস্ট বোলার ও স্পিনারদের ভারসাম্য রয়েছে। সেরা দশে আছেন চার স্পিনার। এখানে তিনজন বিদেশি ক্রিকেটার রয়েছেন।





1. সাকিব আল হাসান: সাকিব বিপিএলের প্রথম সাত সংস্করণে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারী। ৭৬ ম্যাচে মোট ১০৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। বিপিএলে ১০০০ রান ও ১০০ উইকেট নিয়ে একমাত্র অলরাউন্ডার সাকিব। তার বাংলাদেশের সেরা বোলিং পরিসংখ্যানও রয়েছে, ৩.৫-০-১৬-৫। অধিনায়ক হিসেবেও তিনি টুর্নামেন্টের সেরা বোলার।





সাকিবের ইকোনমিক রেট ৬.৭৩। বিপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৭৬২টি ডট বল করার রেকর্ডও সাকিবের। মেডেন আছে ৮টি। ৭৬১টি ডট বল করার রেকর্ড আছে মাশরাফি বিন মুর্তজার।
২. রুবেল হোসেন : ৬৯ ম্যাচে ৯০টি উইকেট শিকার করে তালিকার দ্বিতীয়স্থানে আছেন পেসার রুবেল হোসেন। বিপিএলে মোট ৬টি দলের পক্ষে খেলেছেন তিনি। তার সেরা বোলিং ২৩ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট। রুবেলের ইকোনমিক রেট ৭.৯২। বিপিএলের ইতিহাসে রুবেল মাত্র





একবারই মেডেন ওভার করেছেন।
৩. মাশরাফি বিন মুর্তজা : বিপিএলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি আছেন তৃতীয়স্থানে। ৮৭ ম্যাচে তার দখলে ৮১টি উইকেট। মাশরাফির ইকোনমিক রেট ৬.৯৩ এবং সেরা বোলিং ১১ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট। ৪টি মেডেন ওভার করার অভিজ্ঞতা আছে মাশরাফির। চারটি দলের পক্ষে খেলে একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে চারবার শিরোপা জয় করেছেন তিনি।
৪. শফিউল ইসলাম : শফিউলও বিপিএলে ছয়টি দলের পক্ষে খেলেছেন। ৭৬ ম্যাচে তিনি শিকার করেছেন মোট ৭৮ উইকেট। এই পেসারের সেরা বোলিং ২৬ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট। শফিউলের ইকোনমিক রেট ৮.৩৬। মেডেন ওভার করেছেন দুইটি।





৫. তাসকিন আহমেদ : তালিকার পঞ্চমস্থানটিও একজন পেসারের দখলে। চারটি দলের পক্ষে বিপিএলের ছয়টি আসরে খেলা তাসকিন ৫৩ ম্যাচে শিকার করেছেন ৭৪টি উইকেট। তার ইকোনমিক রেট একটু চড়া, ৮.৬১। তাসকিনের সেরা বোলিং ৩১ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট।
৬. আরাফাত সানি : ৭০ ম্যাচে ৬৫ উইকেট শিকার করে তালিকার ষষ্ঠস্থানে আছেন আরাফাত সানি। স্পিনারদের মধ্যে সাকিবের পরে তিনিই দ্বিতীয় সর্বাধিক উইকেট শিকার করেছেন। সানির সেরা বোলিং ১৪ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট। ইকোনমিক রেট ৬.৯৫। পাঁচটি দলের পক্ষে বিপিএলে অংশগ্রহণ করা সানি মেডেন ওভার করেছেন চারটি।





৭. কেভন কুপার : সর্বাধিক উইকেট শিকারির তালিকায় বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবার ওপরে আছেন কেভন কুপার। এই পেস বোলার মাত্র ৩৮ ম্যাচেই শিকার করেছেন ৬৩টি উইকেট। ইকোনমিক রেটও ঈর্ষনীয়, ৬.৩২। কুপারের সেরা বোলিং ১৫ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট। ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চারটি দলের পক্ষে বিপিএলে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
৮. ফরহাদ রেজা : ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত মুখ রেজা সবকটি আসরেই খেলেছেন। তিনি ছয়টি দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ৭৫ ম্যাচে রেজার শিকার ৬২টি উইকেট। ইকোনমিক রেট ৮.৬০ এবং সেরা বোলিং ৩২ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট।





৯. মোহাম্মদ নবী : শুরুর দিকে পেসারদের দাপট হলেও শেষ দুইটি স্থান স্পিনারদের দখলে। ৪৯ ম্যাচে ৬১ উইকেট নিয়ে নবমস্থানে আছেন আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। ২০১৩ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত নবী খেলেছেন পাঁচটি দলের পক্ষে। তার সেরা বোলিং ২৪ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট। নবীর ইকোনমিক রেট ৬.৭৮।





১০. শহীদ আফ্রিদি : ২০১২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ছয়টি দলের পক্ষে খেলেছেন সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক আফ্রিদি। এই লেগ স্পিনার ৪৫ ম্যাচে শিকার করেছেন ৫৭টি উইকেট। সাকিবের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬টি মেডেন ওভারের রেকর্ড আছে আফ্রিদির। তার সেরা বোলিং ১২ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট। ইকোনমিক রেট ৬.৫০।বাংলাদেশি পেসার আবু জায়েদ রাহীও আফ্রিদির সমান ৫৭টি উইকেট শিকার করেছেন। তবে আফ্রিদির চেয়ে রাহী বেশি ম্যাচ খেলেছেন, ৫৩টি। এবার বিপিএলের প্লেয়ার ড্রাফটে রাহীকে দলে নেয়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি।