
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম সাতটি আসর শেষে শীর্ষ রান সংগ্রাহকের তালিকায় দেশি ক্রিকেটারদের একচেটিয়া আধিপত্য। তালিকার শীর্ষ দশে একমাত্র বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে আছেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল।





১. মুশফিকুর রহিম : বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মুশফিকুর রহিম। আগের সাত আসরে ভিন্ন ভিন্ন সাতটি দলের পক্ষে খেলেছেন মুশফিক। আসন্ন আসরেই প্রথমবারের মতো একই দলের পক্ষে দ্বিতীয়বার খেলতে যাচ্ছেন তিনি। এবারও মুশফিক খেলবেন গত আসরের দল খুলনা টাইগার্সেই। ৮৫ ম্যাচে মুশফিকের সংগ্রহ ২২৭৪ রান। ১৩৩.৯২ স্ট্রাইকরেট ও ৩৭.২৭ গড়ে তিনি হাঁকিয়েছেন ১৫টি অর্ধশতক। ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৭২টি।





২. তামিম ইকবাল : বিপিএল ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বাধিক রানের মালিক তামিম। ৬৯ ইনিংস থেকে ৩৬.৪০ গড়ে বাঁহাতি এই ওপেনারের সংগ্রহ ২২২১ রান। যা যেকোনো বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের পক্ষে সর্বোচ্চ। তামিমের স্ট্রাইকরেট ১২০.৯৬। দেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে বিপিএলের এক ইনিংসে সর্বাধিক ছক্কা (১১) হাঁকানোর রেকর্ড তামিমের।





তামিমের মোট ছক্কা ৭১টি। বিপিএলের এক ইনিংসে কোনো ব্যাটসম্যান শুধু বাউন্ডারি থেকেই ১০০ বা তার বেশি করেছেন এমন ঘটনা ঘটেছে মোট ৩বার। যার মধ্যে একমাত্র দেশি ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি দেখিয়েছেন তামিম। বিপিএলে তার নামের পাশে আছে ১৯টি অর্ধশতক ও ১টি শতক। তামিম খেলেছেন পাঁচটি দলের পক্ষে।
৩. মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ : চারটি দলের পক্ষে রিয়াদ খেলেছেন ৮২টি ম্যাচ। ৭৮ ইনিংসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৮২০ রান রিয়াদের দখলে। তার ব্যাটিং গড় ২৬.৭৬ ও স্ট্রাইকরেট ১২০.২৯। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬৬টি ছক্কা ও ১৪২টি চার। রিয়াদ ৯টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন।





৪. ইমরুল কায়েস : বিপিএলের ইতিহাসে দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড ইমরুলের। তার উইলো থেকে এসেছে ৭৩টি ছক্কা। ৮১ ম্যাচের ৮০ ইনিংসে ইমরুলের সংগ্রহ ১৭৭৪ রান। ব্যাটিং গড় ২৫.৩৪ ও স্ট্রাইকরেট ১১৬.৯৪। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮টি অর্ধশতক। ইমরুলও চারটি দলের পক্ষে খেলেছেন।





৫. সাব্বির রহমান : বিপিএলের ৭ আসরে ছয়টি দলের পক্ষে খেলেছেন সাব্বির। ৮৫ ম্যাচের ৭৭ ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৬০১ রান, যা বিপিএলের পঞ্চম সর্বোচ্চ। সাব্বির একটি শতকের পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন পাঁচটি অর্ধশতক। তার স্ট্রাইকরেট ১২০.৩৭ ও ব্যাটিং গড় ২২.৫৪। তিনি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৬৭টি।





৬. এনামুল হক বিজয় : বিপিএলে চারটি দলের পক্ষে ৮৫টি ম্যাচ খেলেছেন বিজয়। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার ষষ্ঠ সর্বাধিক ১৫২৮ রান সংগ্রহ করেছেন। তার স্ট্রাইকরেট ১১৫.৬৬ ও ব্যাটিং গড় ২০.৯৩। হাঁকিয়েছেন ৫৩টি ছক্কা। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৭টি অর্ধশতক।
৭. মোহাম্মদ মিঠুন : তারপরের নামটি মোহাম্মদ মিঠুন। চারটি দলের পক্ষে মিঠুন মাঠে নেমেছেন ৮১টি ম্যাচে। ৬৯ ইনিংসে তার সংগ্রহ ১৫২০ রান। মিঠুনের স্ট্রাইকরেট ১১৬.৪৭। তার ব্যাটিং গড় ২৬.৬৬। পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস আছে ৭টি। মিঠুনের ব্যাট থেকে ছক্কা এসেছে ৫৭টি।





৮. সাকিব আল হাসান : ৭৬ ম্যাচের ৭৫ ইনিংসে ১৪৮৩ রান নিয়ে অষ্টমস্থানে আছেন সাকিব আল হাসান। সাকিবও বিপিএলে চারটি দলের পক্ষে খেলেছেন। কোনো শতক না থাকলেও সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছে ৫টি অর্ধশতক। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৩৮টি। তার স্ট্রাইকরেট ১২৯.২৯ ও ব্যাটিং গড় ২৫.১৩।
৯. ক্রিস গেইল : একমাত্র বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছেন ক্রিস গেইল। বিপিএলের নিয়মিত মুখ তিনি, অন্যান্য বিদেশি ক্রিকেটাররা তার মতো নিয়মিত সুযোগ না পাওয়াও তাদের এই তালিকায় না থাকার একটি অন্যতম কারণ। ৪২ ম্যাচে গেইলের সংগ্রহ ১৪৮২ রান। স্ট্রাইকরেট ধরাছোঁয়ার বাইরে ১৫৬.৯৪।





ব্যাটিং গড়ও সবার ওপরে, ৪১.১৬। বিপিএলের সর্বোচ্চ ১৩২টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন গেইল। তার ব্যাট থেকে চার এসেছে ৯৬টি। সর্বোচ্চ পাঁচটি শতকও এসেছে গেইলের ব্যাট থেকে। অর্ধশতকও হাঁকিয়েছেন পাঁচটি। বিপিএলে ভিন্ন ভিন্ন ছয়টি দলের পক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা আছে গেইলের। এই ব্যাটিং দানব এবার খেলবেন ফরচুন বরিশালের পক্ষে।
১০. মুমিনুল হক : বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকের সংগ্রহ দশম সর্বোচ্চ ১২৯৫ রান। মুমিনুলের স্ট্রাইকরেট ১০৮.৯১। ব্যাটিং ২০.৮৮। তিনি খেলেছেন ৭৮টি ম্যাচ। ৬৭টি ইনিংসে হাঁকিয়েছেন ৭টি অর্ধশতক। তাই উইলো থেকে এসেছে ২৭টি ছক্কা ও ১২৭টি চার।