বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম ক্রিকেটার কায়েস মূলতঃ বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। এছাড়াও, তিনি বাংলাদেশ এ দল, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একাদশ দলে খেলেছেন।
ইমরুল বাংলাদেশের দুর্ভাগা ক্রিকেটারদেরই একজন। কখনোই ‘প্রথম পছন্দ’ হিসেবে দলে আসেন না তিনি। কখনোই তাঁকে এই বলে নির্ভার খেলতে দেওয়া হয় না যে, ‘পরের ১০টি ম্যাচে তুমি খেলবে।’ ইমরুল যত ম্যাচ খেলেছেন তার বেশির ভাগই অন্য খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতির কারণে। ২০১৫ সালে যেমন শুরুতে দলে না থেকেও ‘বিশ্বকাপ’ খেলা হয়ে গিয়েছিল তাঁর। ২০১৯ সালে এসে তাঁর ক্যারিয়ারে মোটামুটি স্থায়ী যতি চিহ্নই পড়ে গিয়েছিল।
সেই ইমরুলকে আশার আলো দেখিয়ে আবার অন্ধকারে ছুঁড়ে ফেলাটা বোধহয় তার প্রতি একটু নির্দয় আচরনই হয়ে গেল। আর তাতে ফুটে উঠল টিম ম্যানেজমেন্ট এবং নির্বাচক কমিটির চিন্তার দৈন্যতাও।
চলমান ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। দল ফাইনালে উঠতে না পারলেও ব্যাট হাতে দারুণ করেছেন ইমরুল।
প্রথম ম্যাচে ২৫ রানের ইনিংস খেলার পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে জোড়া হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ইমরুল। দ্বিতীয় ম্যাচে ৬৯ ও তৃতীয় ম্যাচে ৭১ রানের ইনিংস খেলেন ইমরুল।
তিন ম্যাচে ১৬৫ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে আছেন তিনি। এদিকে দুই ম্যাচ খেলে ৬৮ রান করেন সাকিব আল হাসান। দুই ম্যাচ খেলে তামিমের সংগ্রহ ৪৪ রান। দুই ম্যাচ খেলে ১০৯ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৮ সালে জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা গিয়েছিল ইমরুলকে। এরপর প্রাথমিক স্কোয়াডে ডাক পেলেও জাতীয় দলে জায়গা মেলেনি তার। এখনও দলে ফেরার জন্য মরিয়া তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন ইমরুল।
রান পেলেও নির্বাচকদের মন জয় করতে পারছেন না তিনি। এ কারণে জায়গা হচ্ছে না জাতীয় দলে। তবে সবসময় সেরাটা উপহার দিয়ে আবারও জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন দেখছেন ইমরুল।