তার নেতৃত্বে অসম্ভবকে সম্ভব করেছে বাংলাদেশ। স্বপ্ন হয়েছে সত্য, অভাবনীয় সাফল্য দিয়েছে ধরা। নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে হারানো যায়- এ অকল্পনীয় সাফল্যকে বাস্তব রুপ দিয়েছে মুমিনুল হকের দল। এ অভাবনীয় সাফল্য উপহার দেওয়ার পাশাপাশি আজ আরও একটি সুখবর দিয়েছেন মুমিনুল। এতো কাল জানা ছিল, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বড় অংশ বিশেষ করে তরুণরা টেস্ট ক্রিকেট উপভোগ করেন না। তারা টেস্টের চেয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বেশী ভালবাসেন। সীমিত ওভারের ক্রিকেটটাই বেশি উপভোগ করেন।
কিন্তু মুমিনুল আজ (বুধবার) জানিয়ে দিলেন, সেটা পুরোপুরি ঠিক নয়। তার ভাষ্য, ‘বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটাররাও টেস্ট ক্রিকেট ভালবাসে এবং তারা টেস্ট খেলতে মুখিয়ে থাকে।’
পাঁচ দিন মাঠে থাকা, লম্বা সময় ব্যাট করা, কখনও একদিন, দেড়দিন বা টানা দুই দিন ফিল্ডিং করা, লম্বা স্পেলে বোলিং করা- অনেক বেশি কঠিন। সীমিত ওভারের তুলনায় টেস্ট খেলা তাই শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে অনেক বেশি কষ্টের, ধকলটাও বেশি।
সেই বাড়তি শারীরিক ধকল থেকে দূরে থাকার জন্যই হোক বা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির জমজমাট আকর্ষণ, বাড়তি অর্থ এবং ওয়ানডের সাফল্যকে ধারণ করার জন্যই হোক- বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের একটা বড় অংশ নাকি টেস্ট খেলতে চান না। এতকাল এমনটাই শোনা গেছে। এমনকি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও কয়েকবার বলেছেন, কেউ কেউ নাকি টেস্ট ক্রিকেট তেমন উপভোগ করেন না। তারা টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডেই বেশি খেলতে চান। কিন্তু মুমিনুল শোনালেন আশার বাণী।
বুধবার জয়ের পর জাগো নিউজের সঙ্গে মুঠোফোন আলাপে টাইগার অধিনায়ক জানান, ‘সবাই জানে মুশফিক ভাই (নিজের কথা বলেননি) টেস্ট খেলতে মুখিয়ে থাকেন। তিনি টেস্ট খুব পছন্দ করেন। টেস্টের প্রতি তার ভালোবাসা ও ডেডিকেশন সর্বোচ্চ।’ মুমিনুল আরও যোগ করেন, ‘তার (মুশফিক) পাশাপাশি আমাদের দলের তরুণরাও এখন টেস্ট খেলতে ভালবাসে। টেস্টকে উপভোগ করে। শুনে খুশি হবেন, আমাদের তরুণ ক্রিকেটারদের বড় অংশ টেস্ট ক্রিকেটকে খুব পছন্দ করে।’
এর মধ্যে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন অনেকেই আছে যেমন শান্ত-লিটন টেস্টে ডেডিকেটেড। তারা টেস্ট ম্যাচ ভালবাসে। পেস বোলারদের মধ্যে তাসকিন, এবাদত, শরিফুল অনেক বেশি ডেডিকেটেড টেস্টে। মুশফিক ভাই তো আছেনই। তরুণরাও সবাই ডেডিকেটেড। তাসকিনের দিকে তাকান, দেখবেন টেস্টে তার বোলিং, হাঁটা-চলাই অন্যরকম। টেস্ট বোলার হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে তাসকিন, এবাদত, শরিফুল দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।’
মুশফিকের পাশাপাশি তরুণরাও টেস্ট ক্রিকেটকে ভালবাসেন, টেস্ট উপভোগ করেন, খেলতেও পছন্দ করেন। সোনালি সাফল্যের দিনে অধিনায়কের মুখ থেকে পাওয়া এমন তথ্য যে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য আরেক সুখবর। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ভবিষ্যত অন্ধকার বলে যারা গলা ফাটাতেন, তাদের মুখ বন্ধ করার এক বড় রসদ মিললো।