ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক মোটেও ভালো হয়নি। ঢাকা টেস্টে শূন্য দিয়ে শুরুর পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬। তবে এই মাহমুদুল হাসান জয়ের ওপর আস্থা হারাননি মুমিনুল হক। বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক বরং তরুণ সতীর্থকে দেখেন অন্য উচ্চতায়।
মুমিনুল মনে করেন, নিজেকে ঠিকঠাক মেলে ধরলে বাংলাদেশের পরবর্তী মহাতারকা হতে পারেন মাহমুদুল জয়। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন মাহমুদুল। বিশ্বকাপ জয়ের পথে সেমি-ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। সেই টুর্নামেন্টে তিনি ছিলেন দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটেও বিভিন্ন সংস্করণে ছাপ রাখেন নিজের উন্নতির। টেস্ট দলে সুযোগ পান মাত্র ছয়টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেই।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের সবশেষ আসরে চট্টগ্রাম বিভাগের প্রথম ম্যাচে জোড়া শূন্য দিয়ে শুরু করলেও পরের দুই ম্যাচে তিনি করেন দুটি সেঞ্চুরি। পরের রাউন্ডেও প্রথম ইনিংসে খেলেন ৮৩ রানের ইনিংস। টেস্ট দলে ডাক পাওয়ায় মাঝ পথে ছেড়ে আসেন সেই ম্যাচ। ব্যাটিংয়ে উন্নতির ছাপ রাখেন তিনি এ বছর বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের হয়ে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজ ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে।
আইরিশদের বিপক্ষে গত মার্চে একদিনের ম্যাচের সিরিজে ৭১.২৫ গড়ে ২৮৫ রান করে সিরিজের সবচেয়ে বেশি রান তার। ৫ ইনিংসে ছিল একটি সেঞ্চুরি, দুটি ফিফটি। এরপর প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে তিনি ছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার। ওল্ডডিওএইচএসের হয়ে ৩৯২ রান করেন ৪৩.৫৫ গড় ও ১২১.৩৬ স্ট্রাইক রেটে। ২০ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানকে টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুলের মনে হয়েছে অমিত সম্ভাবনাময়।
মমিনুলের ভাষায়, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনালে যখন সেঞ্চুরি করল, তখন ওকে দেখে ভালো লেগেছিল। আমি ওকে নিয়ে খুবই আশাবাদী। আমার মনে হয়, বাংলাদেশের পরবর্তী সুপারস্টার হতে পারে। জানি না, আপনারা কীভাবে দেখেনে। মিডিয়াতে না বলাই ভালো। কিন্তু আমি মাহমুদুলে মুগ্ধ। আশা করি, সে ভালো ক্রিকেট খেলবে। তার বড় খেলোয়াড় হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’