
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এর অষ্টম আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্টান শুরু হয়েছে রাজধানীর একটি পাচ তারকা হোটেলে। দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত হওয়া এই প্লেয়ার্স ড্রাফটে এরইমধ্যে শেষ হয়েছে দুই রাউন্ডের নিলাম।





চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স নিয়েছে শরিফুল ইসলাম, আফিফ হোসেনকে। খুলনা টাইগার্স নিয়েছে শেখ মেহেদী হাসান ও সৌম্য সরকারকে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স নিয়েছে লিটন দাস ও শহীদুল ইসলামকে। সিলেট সানরাইজার্স থেকে নেয়া হয়েছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ মিঠুনকে। ঢাকা নিয়েছে তামিম ইকবাল ও রুবেল হোসেন। ফরচুন বরিশাল নিয়েছে নুরুল হাসান সোহান, নাজমুল হোসেন শান্ত।





দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসর। লড়াই শুরু হবে ২১ জানুয়ারি। মাঠে খেলার আগে আজ প্লেয়ার ড্রাফট করা হচ্ছে। অংশগ্রহণকারী ফ্র্যাঞ্চাইজি ২০৩ জন স্থানীয় এবং ৪৩৫ জন বিদেশী ক্রিকেটার থেকে তাদের পছন্দের দল নির্বাচন করার সুযোগ পাবে। প্লেয়ার ড্রাফ্টের সমস্ত বিবরণ পেতে এই থ্রেডটি অনুসরণ করুন।





বিপিএলের অষ্টম আসরের জন্য প্লেয়ার্স ড্রাফটে আগে একজন দেশি ও তিনজন বিদেশি ক্রিকেটারকে দলে ভেড়ানোর সুযোগ ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর কাছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলে পছন্দের তারকাকে নিয়েছে প্রতিটি দলই। দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের এ ক্যাটাগরিতে থাকা ৬ ক্রিকেটারের ৪জনই ড্রাফটের আগে পেয়েছেন দল। তাই প্লেয়ার্স ড্রাফটে উঠতে যাচ্ছেন দল না পাওয়া দুই ক্রিকেটার – তামিম ইকবাল ও মাশরাফি মুর্তজা।





নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৪জন করে ক্রিকেটারকে দলে টেনেছে সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও কুমিল্লা। তাছাড়া ৩ জন ক্রিকেটারকে দলে অন্তর্ভুক্ত করেছে চট্টগ্রাম। আর একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে দলে নিয়েছে ঢাকা।প্রসঙ্গত, প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে প্রতিটি দল কমপক্ষে ১০জন ও সর্বোচ্চ ১৪ জন দেশি ক্রি কেটারকে দলে নিতে পারবে। বিদেশি ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৩ ও সর্বোচ্চ ক্রিকেটারের সংখ্যা ৮।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক প্রথম দুই রাউন্ড শেষে কে কোন দলে





কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স – লিটন দাস (ক্যাটাগরি ‘বি’), শহিদুল ইসলাম (ক্যাটাগরি ‘সি’)ঢাকা – তামিম ইকবাল (ক্যাটাগরি ‘এ’), রুবেল হোসেন (ক্যাটাগরি ‘বি’)সিলেট সানরাইজার্স – মোসাদ্দেক হোসেন (ক্যাটাগরি ‘বি’), মোহাম্মদ মিঠুন (ক্যাটাগরি ‘বি’)খুলনা টাইগার্স – শেখ মেহেদী হাসান (ক্যাটাগরি ‘বি’), সৌম্য সরকার (ক্যাটাগরি ‘বি’)চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স – শরিফুল ইসলাম (ক্যাটাগরি ‘বি’), আফিফ হোসেন ধ্রুব (ক্যাটাগরি ‘বি’)ফরচুন বরিশাল – নুরুল হাসান সোহান (ক্যাটাগরি ‘বি’), নাজমুল হোসেন শান্ত (ক্যাটাগরি ‘বি’)
একনজরে দেখে নেওয়া যাক তৃতীয় ও চতুর্থ রাউন্ড শেষে কে কোন দলে





খুলনা টাইগার্স – কামরুল ইসলাম রাব্বি (ক্যাটাগরি ‘সি’), ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি (ক্যাটাগরি ‘সি’)সিলেট সানরাইজার্স – আল-আমিন হোসেন (ক্যাটাগরি ‘সি’), নাজমুল ইসলাম অপু (ক্যাটাগরি ‘সি’)ফরচুন বরিশাল – মেহেদী হাসান রানা (ক্যাটাগরি ‘ডি’), ফজলে মাহমুদ রাব্বি (ক্যাটাগরি ‘সি’)কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স – ইমরুল কায়েস (ক্যাটাগরি ‘বি’), তানভীর ইসলাম (ক্যাটাগরি ‘সি’)চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স – শামীম হোসেন পাটোয়ারি (ক্যাটাগরি ‘সি’), মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ (ক্যাটাগরি ‘ডি’)ঢাকা – মাশরাফি বিন মুর্তজা (ক্যাটাগরি ‘এ’), শুভাগত হোম চৌধুরী (ক্যাটাগরি ‘সি’)





বিপিএল ড্রাফট-
খুলনা টাইগার্স- মুশফিকুর রহিম, থিসারা পেরেরা, নাভিন উল হক, ভানুকা রাজাপাকশে, শেখ মেহেদী হাসান, সৌম্য সরকার, কামরুল ইসলাম রাব্বি, ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি।চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স- নাসুম আহমেদ, বেনি হাওয়েল, কেনার লুইস, শরিফুল ইসলাম, আফিফ হোসেন ধ্রুব, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।





ঢাকা- মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ইসুরু উদানা, ফয়েজ আহমেদ, তামিম ইকবাল, রুবেল হোসেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা, শুভাগত হোম চৌধুরী।ফরচুন বরিশাল- সাকিব আল হাসান, মুজিব উর রহমান, দানুশকা গুনাথিলাকা, নুরুল হাসান সোহান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান রানা, ফজলে মাহমুদ রাব্বি।





কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স- মুস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস, শহিদুল ইসলাম, ইমরুল কায়েস, তানভীর ইসলাম।
সিলেট সানরাইজার্স- তাসকিন আহমেদ, দীনেশ চান্দিমাল, কেসরিক উইলিয়ামস, কলিন আলেকজেন্ডার, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ মিঠুন, আল আমিন হোসেন, নাজমুল ইসলাম অপু, ।





একনজরে বিপিএল প্লেয়ার্স ড্রাফটের আদ্যোপান্ত
দেশি খেলোয়াড় : ২০৩ জন
মোট বিদেশি খেলোয়াড় : ৪৩৫ জন
অংশগ্রহণকারী দল : ৬
স্কোয়াডে সর্বনিম্ন দেশি খেলোয়াড় : ১০ জন
স্কোয়াডে সর্বোচ্চ দেশি খেলোয়াড় : ১৪ জন
স্কোয়াডে সর্বনিম্ন বিদেশি খেলোয়াড় : ৩ জন স্কোয়াডে
সর্বোচ্চ বিদেশি খেলোয়াড় : ৮ জন।