শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) যুব এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেপালকে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। পরদিন শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় ম্যাচে কুয়েতের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে টােইগার যুবারা। প্রথম ম্যাচে টাইগার ওপেনার মেহফিজুল ইসলাম দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন। তবে কুয়েতের বিপক্ষে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ২৬ রানে। এর আগে অবশ্য স্কোরবোর্ডে ২৯১ রান তোলে তরুণরা।





শারজায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৩ রান রেখে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার ইফতেখার হোসেন ইফতি (৯ বলে ২ রান)। তার বিদায়ের পর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম ও তিনে নামা আইচ মোল্লা। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে গড়েন ৮৪ রানের জুটি।





প্রথম ম্যাচে তিনে ব্যাট করতে নেমেছিলেন নাবিল। ১২৭ রান করে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ব্যাটও করেছিলেন। সেই ধকল কাটিয়ে উঠতেই হয়তো এই ম্যাচে তাকে লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে পাঠানর সিদ্ধান্ত টিম ম্যানেজমেন্টের। তার জায়গায় তিনে ব্যাট করতে নামা আইচ মোল্লা ৩৯ বলে ২০ রান করে বিদায় নেন। এরপর আরিফুল ইসলাম ক্রিজে নেমে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলছিলেন। ২৪ বলে ২৩ রান করে বিদায় নিতে হয় তাকেও।





অন্যরা যাওয়া আসার মিছিলে থাকলেও মাহফিজুল উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রেখে ছোটাচ্ছিলেন রানের চাকা। পাঁচে ব্যাট করতে নামা তাহজিবুল ১৯ বলে ২৫ রানে ফিরলে উইকেটে আসেন মেহরব। উইকেটে এসেই ঝড়ো গতিতে রান তুলতে থাকেন। এর আগে অবশ্য মাহফিজুল দুর্দান্ত শতক তুলে নেন। ১১৯ বলের মোকাবেলায় ১২টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকিয়ে ১১২ রান করে আউট হন মাহফিজুল। বিজ্ঞাপন





শতক করে মাহফিজুল ফিরলে উইকেটে আসেন প্রথম ম্যাচে শতক হাঁকানো নাবিল। তবে এদিন ব্যাট হাতে মাত্র ৫ বলে ৫ রান করেই এলবি হয়ে ফেরেন তিনি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা বাংলাদেশ ৪ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয় ২৯১ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড