
দীর্ঘদিন পর ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন জাতীয় দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন। অনেকদিন ধরে বাজে ফর্মের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। নানা সমালোচনার পর দল থেকে শেষ পর্যন্ত বাদ পড়েছেন তিনি। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়ে সেটিকে সদ্ব্যবহার করেছেন মোহাম্মদ মিঠুন।





জাতীয় দল সহ ঘরোয়া ক্রিকেট লীগে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করতে দেখা যায় মোহাম্মদ মিঠুনকে। কিন্তু জাতীয় দলের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো পরামর্শে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ডাবল সেঞ্চুরির পথে ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন।





গতকাল রোববার নর্থ জোনকে ২১৯ রানে অলআউট করে বিনা উইকেটে ৬১ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করেছিল ওয়ালটন। মিঠুন ৪৩ ও মিজানুর ১৮ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন। আজ দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মিঠুন। এরপর ১৪৫ বলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি।





বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের নবম আসরে এটাই ছিল প্রথম সেঞ্চুরি। এই ম্যাচেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথমবার ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন তিনি। আর নতুন পজিশনে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে স্মরণীয় করে রাখেন। তবে সেঞ্চুরির পর ডাবল সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন।





দ্বিশতক থেকে ২৪ রান দূরে থাকতে আউট হন মিঠুন। ২৫৭ বলে ২১টি চার ও ২ ছক্কায় ১৭৬ রান করে যান তিনি। ম্যাচ শেষে আজ মিঠুন জানিয়েছেন রান করতে সব সময় ভালো লাগে তার। তবে এখনো অনেক বাকি বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের বাকি ম্যাচ গুলিতে আরো ভালো খেলতে চান তিনি।





আর এক ম্যাচ খেলে জাতীয় দলের চিন্তা করছেন না তিনি। আজ মোহাম্মদ মিঠুন বলেন, “আমি ঐভাবে কখনো চিন্তা করিনা। আমি সবসময়ই ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করি। সবসময় চাই যে টিমেই খেলি সেই টিমেই যাতে কন্ট্রিবিউশন করি। এখন শুধু একটি ইনিংসই হয়েছে, এখনো অনেক বাকি”“ভালো কিছু করতে হলে টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচিং স্টাফ, খেলোয়াড়দের মধ্যে সম্পর্ক ভালো থাকতে হয়। তাহলে ভালো পারফরম্যান্স করা সহজ হয়ে যায়। আমাদের ওয়ালটনের দলের এনভায়রনমেন্টটা খুব ‘ক্রিকেট ফ্রেন্ডলি’। সবসময় ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা হয়।”