বিপিএল আয়োজনে তোড়জোর শুরু হয়েছে আর দুর্ভাবনার নতুন উপলক্ষও জন্ম নিয়েছে। করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বজুড়ে। বাংলাদেশে এখনও এর তেমন কোনো প্রভাব না পড়ায় বিসিবি শঙ্কিত নয় এখনই। তবে প্রয়োজন পড়লে অবস্থা বুঝেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানালেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরি।
কোভিড পরিস্থিতির কারণেই গত বছর বিপিএল আয়োজন করতে পারেনি বিসিবি। বিকল্প হিসেবে শুধুমাত্র দেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি লিগ নামে একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছিল।
কোভিড পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হওয়ায় এবার বিপিএল আয়োজনে জোগাড়যন্ত্র এগিয়ে নিচ্ছে বিসিবি। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সত্ত্বাধিকারীর খোঁজে ‘এক্সপ্রেশন্স অব ইন্টারেস্ট’ চাওয়া হয়েছে বেশ কয়েকদিন আগেই, যেটির শেষ দিন আগামী রোববার। এছাড়া টুর্নামেন্টের সম্ভাব্য সময়, ভেন্যু, দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট আরও অনেক কিছুর খসড়া দাঁড় করানো হয়েছে।
কিন্তু এই আয়োজনে আততায়ী হয়ে উঠতে পারে ওমিক্রন। বিশেষ করে বিদেশি ক্রিকেটারদের আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় প্রভাব রাখতে পারে এটি, যদি পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে।
দেশের ক্রিকেটের জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরের ৬টি দল চূড়ান্ত হয়েছে। ৮টি ফ্র্যাঞ্চাইজি দল কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলেও পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ৬টি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
এবার ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, কুমিল্লা ও খুলনা অঞ্চলের প্রতিনিধিত্বকারী দল দেখা যাবে বিপিএলে। নেই রংপুর ও গত আসরের চ্যাম্পিয়ন রাজশাহীর প্রতিনিধিত্বকারী কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। এছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগের দল বিপিএলে আসার গুঞ্জন থাকলেও চূড়ান্ত হওয়া ৬ দলের মধ্যে ময়মনসিংহের নাম নেই। এবার পুরনো দলগুলোর মধ্যে থাকছে শুধু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দুইবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার মালিকানায় থাকছেন নাফিসা কামাল। গত মৌসুমে খেলা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মালিকানা পেয়েছে যথারীতি আখতার গ্রুপ।
এছাড়া রূপা ও মার্ন গ্রুপ ঢাকা, প্রগতি গ্রুপ সিলেট, ফরচুন গ্রুপ বরিশাল ও মাইন্ড ট্রি খুলনার প্রতিনিধিত্ব করবে।