টি-টোয়েন্টির মতো টেস্ট সিরিজেও হবে একই পরিণতি

847

জিম্বাবুয়ের সঙ্গে এ বছর জুলাইতে শেষ টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে মুমিনুল হকের নেতৃত্বে যে ১১ জন মাঠে নেমেছিলেন, তার তিনজন সাকিব, রিয়াদ আর তাসকিন নেই। সাকিব স্কোয়াডে থাকলেও প্রথম টেস্ট খেলতে পারবেন না।

GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht

অধিনায়ক মুমিনুল হক আর মুশফিকুর রহিম ছাড়া টেস্ট দলে পরিণত, অভিজ্ঞ পারফরমার নেই বললেই চলে। লিটন দাস ২৫ টেস্ট খেলে ফেলেছেন। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেকে মোটেই খুঁজে না পাওয়া এ স্টাইলিস্ট উইলোবাজ টেস্টে নিজেকে কতটা মেলে ধরতে পারবেন? সন্দেহ আছে।

GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht

সব মিলিয়ে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের সঙ্গে পুরো শক্তিতে মাঠে নামা হচ্ছে না বাংলাদেশের। পূর্ণ শক্তিতে মাঠে নামতে না পারাই শেষ কথা নয়। দলে পরিণত প্লেয়ারের সংখ্যাও খুব কম। আর মুশফিক ও মুমিনুলের বাইরে যারা আছেন, তাদের বড় অংশ ফর্মে নেই।

GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht

শুধু ব্যাটিংয়ের কথা বলা কেন, বোলিংয়ের অবস্থা আরও খারাপ। মূল চালিকাশক্তি সাকিব আর প্রধান পেসার তাসকিন নেই। তাদের বিকল্প হিসেবে যারা খেলবেন, তারাও অপরিণত, অনভিজ্ঞ ও প্রতিষ্ঠিত নন। মোট কথা, এক অনভিজ্ঞ, অপরিপক্ক আর ফর্মহীন পারফরমারে সাজানো দল নিয়ে মাঠে নামতে হবে বাংলাদেশকে।

GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাবর আজমের দলের সঙ্গে কী কুলিয়ে উঠতে পারবে মুমিনুল বাহিনী? টি-টোয়েন্টির পর টেস্টে টাইগারদের পরিণতি কী হতে পারে?

GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht

এ কৌতুহলি প্রশ্ন অনেকের মনেই উকি ঝুঁকি দিচ্ছে। সাকিব, মুশফিকের গুরু নাজমুল আবেদিন ফাহিমও চিন্তিত। খানিক শঙ্কিতও। তিনিও মনে করেন, একটা অপরিণত, অনভিজ্ঞ ও একঝাঁক ফর্মহীন ক্রিকেটারে সাজানো দল নিয়ে শক্তিশালী ও বেশ গোছানো পাকিস্তানের সামনে বাংলাদেশ।

GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht

একান্ত আলাপে অনেক কথার ভিড়ে ফাহিম প্রথমেই বলে ওঠেন, ‘টি-টোয়েন্টি একটা দলের ২/৩ জন ভাল খেলোয়াড় থাকলে তারা দলটাকে টেনে নিয়ে যেতে পারেন। একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দু’তিনজন ভাল খেললেই চলে। টেস্টে কিন্তু তা হয় না। টেস্টে কমপ্লিট টিম ওয়ার্ক একান্তই জরুরি। স্কিল, স্ট্রেন্থ, এক্সপোজড। ফাঁকি দেয়ার কোনোই উপায় নেই। আমরা অনভিজ্ঞতা নিয়েই টেস্টে খেলতে নামছি। এছাড়া আরও একটি নেতিবাচক দিকও আছে। দলে বেশ ক’জন খেলোয়াড় আছে যারা নিজেকে হারিয়ে খুঁজছে। দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আছে।’

GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht

ফাহিম যোগ করেন, ‘এমনিতেই এক্সপেরিয়েন্স প্লেয়াররা নেই। আর যারা খেলবেন, তাদেরও বড় অংশ ফর্মে নেই। এ দুটি বড় মাইনাস পয়েন্ট। বড় বাঁধা। বোলারদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তাসকিন, শরিফুল আর মোস্তাফিজ নেই। লিডিং বা ফ্রন্টলাইন বোলার যারা ছিল, তারা নেই। এতগুলো অনভিজ্ঞ পারফরমার নিয়ে টেস্টে পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়া অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা যদি ভাল খেলতে পারি, তাহলে দারুণ হবে; কিন্তু ফেইল করলে কোথায় যাব? আর যাবার জায়গা থাকবে না কিন্তু।’

GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht

ফাহিম স্বীকার করেছেন, ‘টেস্টে টি-টোয়েন্টির তুলনায় পরিবর্তন হয়েছে কম। সাকিব ইনজুরড। তাসকিনও তাই। আর রিয়াদ অবসরে। তাই তাদের বিকল্প খেলোয়াড় লাগছেই।’

GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht

অনেক নেতিবাচক দিকের মধ্যেও ফাহিম ইতিবাচক কিছু খোঁজার চেষ্টা করছেন। তাই তার কথা, ‘তারপরও সাকিব, তামিম, মাহমুদউল্লাহ আর তাসকিনের বদলে কজন তরুণ সুযোগ পাবে। তাদের জন্য এটা বড় সুযোগ। ওই প্রতিষ্ঠিত পারফরমরা থাকলে কিন্তু তরুণদের সুযোগ মিলতো না। আশা করছি তরুণ এ সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে।’

GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht

দলের সবচেয়ে সিনিয়র, অভিজ্ঞ এবং সেরা পারফরমারদের বিকল্প হিসেবে একঝাঁক তরুণদের সুযোগ দেয়ার চেয়ে ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ মিঠুন ও নাসির হোসেনের মত আগে খেলা পারফরমারদের সুযোগ দেয়ার পক্ষে ফাহিম।

GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht

তার ব্যাখ্যা, আমার মনে হয় মাঝামাঝি বয়সের কজন ক্রিকেটারকে ডাকা যেত। যারা আগে খেলেছে। হয়ত বাদ পড়েছে। তবে তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভ্যাস আছে।

GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht
GLeZpht

তেমন ক’জন পরিণত পারফরমারকে তৈরি রাখা দরকার। তারা হয়ত তামিম, সাকিব, রিয়াদের অভাব পূরণ করতে পারবে না। তবে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা দিয়ে ঠেকা কাজ চালাতে পারবে। কিন্তু আমরা তা না করে এক ঝাঁক তরুণের ওপর নির্ভর করছি। তাদের তৈরি হওয়ার মত পরিবেশ ও প্রেক্ষাপট তৈরি না করে তাদের পাকিস্তানের মত একটা ফর্মের চূড়ায় আর আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা দলের সামনে নামিয়ে দিচ্ছি। সেটা কতটা যৌক্তিক ও দূরদর্শি? তা ভেবে দেখছি কি?

You May Also Like