আবারো আশা জাগিয়েও পাকিস্তানের বিপক্ষে জেতা হলোনা বাংলাদেশের। এড়ানো গেলোনা হোয়াইটওয়াশ। চরম নাটকীয়তার ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ শেষ ওভারে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিল পাকিস্তান। অল্প রান করেও শেষ ওভারে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ রক্ষা না হলেও শেষ ওভারে তিন উইকেট নিয়ে গড়েন দারুণ রেকর্ড।
বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর চেনা আঙিনায় ফিরেও ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো উইকেটেও কোনোমতে দলটি করতে পারে কেবল ১২৪ রান। এরপরও দারুণ লড়াই করেন বোলাররা। নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ডানহাতের আঙুলে চোট পান তাসকিন আহমেদ। কিছুটা সময়ে বাইরে থাকার পর মাঠে ফিরে চোট নিয়েই করেন দুটি ওভার। অন্য বোলাররাও চেষ্টা করেন সাধ্যমতো। ম্যাচ গড়ায় শেষ বলে।
মূল বোলারদের ওভার শেষ। শেষ ওভার একজন অনিয়মিত বোলারকে দিতে হতোই। বোলিংয়ে আসেন অধিনায়ক নিজেই। স্রেফ ৮ রানের পুঁজি নিয়েও জাগান জয়ের আশা।
প্রথম ছিল বল ডট। পরের বলে ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েন সরফরাজ আহমেদ। তৃতীয় বলে লং অনে মোহাম্মদ নাঈম শেখের হাতে ধরা পড়েন থিতু ব্যাটসম্যান হায়দার আলি।
চতুর্থ বলে ছক্কায় ওড়ান ইফতেখার আহমেদ। ম্যাচে তখনও নাটকীয়তার বাকি। পরের বলেই থার্ড ম্যানে ধরা পড়েন ইফতেখার! নানা ঘটনা পেরিয়ে শেষ বলে চার মেরে পাকিস্তানের ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন মোহাম্মদ নওয়াজ।
দল হারলেও এদিন দারুণ এক রেকর্ডে নাম লেখান মাহমুদউল্লাহ। পুরো ম্যাচে কোন বোলিং না করেও শেষ ওভানে ৩ উইকেট নিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মাত্র এক ওভার বোলিং করে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েন। যদিও সব মিলিয়ে ইনিংসে এক ওভার বোলিংয়ে ৩ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড আছে আরেক বোলার। তিনি অবশ্য পাকিস্তানী। ২০০৮ সালে পাকিস্তান মনসুর আমজাদ বাংলাদেশের বিপক্ষেই ৩ উইকেট নিয়েছিলেন।