ভারত আইসিসির আট বছরের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের তিনটি আয়োজন করেছে। নিয়ম অনুযায়ী, টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য বিসিসিআইকে ভারত সরকারকে ‘ট্যাক্স’ দিতে হবে।
২০২৪-২০৩১ সাল পর্যন্ত চক্রের আইসিসির বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের আয়োজক দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় আট বছরে- চারটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও দুটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করা হবে। আট বছরে আটটি টুর্নামেন্টের মধ্যে তিনটির দায়িত্ব পেয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
২০২৬ সালে শ্রীলঙ্কাকে সাথে নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২০২৯ সালে এককভাবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এবং ২০৩১ সালে বাংলাদেশকে নিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজক ভারত। এমনিতেই ভারতীয় ক্রিকেটে টাকার ছড়াছড়ি। তার ওপর আইসিসির বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করলে বোর্ডের লাভের অঙ্কটা আরও বৃদ্ধি পাবে।
ভারতে আইসিসির টুর্নামেন্ট আয়োজনে সবচেয়ে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল কর। টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে ভারতকে সরকারকে কর দিতে হবে বোর্ডের। কর ইস্যুতে ২০২৩ বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়েও ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল আইসিসি ও বিসিসিআইয়ের মাঝে। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে সেই কর থেকে মুক্তি দিল আইসিসি।
ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার সূত্র অনুযায়ী সাম্প্রতিক সময়ে এক বৈঠকে বিসিসিআই থেকে করের বোঝা নামিয়ে দিয়েছে আইসিসি। তিনটি টুর্নামেন্টের জন্য যে কর আসবে তা বিসিসিআই নয়, ভারত সরকারকে দিবে ক্ষোদ আইসিসি। এতে ভারতীয় বোর্ডের প্রায় ১৫০০ কোটি রুপি লাভ হবে জানা যায়।
ঐ বৈঠকে সৌরভ গাঙ্গুলির বোর্ড আরও উল্লেখ করে, ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য ভারত সরকারকে ৭৫০ কোটি রুপি কর দিতে হয়েছে। যদি ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও যদি ভারতে আয়োজন করা হতো তাহলে বিসিসিআইকে আরও ৩৪০ কোটি রুপি খোয়াতে হতো।
করের বোঝা আইসিসি নেওয়ায় ঐ তিন টুর্নামেন্টের লাভের অধিকাংশ অংশই যাবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পকেটে।