ইয়াসির আলী রাব্বি নিজেকে খানিক দূর্ভাগা ভাবতেই পারেন। একবার দুইবার নয়, অন্তত চার-পাঁচবার জাতীয় দলে ডাক পেলেও, লাল সবুজ জার্সি গায়ে এখনও নামা হয়নি। টেস্ট স্কোয়াডে থাকলেও টেস্ট ক্যাপ পরার সুযোগ মেলেনি তারা।যদিও আনুষ্ঠানিক দল ঘোষণা হয়নি। তবে বোঝাই যাচ্ছে, পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের প্রাথমিক ক্যাম্পে ডাক পাচ্ছেন চট্টগ্রামের এ মিডল অর্ডার ব্যাটার।
এত বার জাতীয় দলে ডাক পাওয়া, স্কোয়াডে থেকেও অভিষেক না হওয়া; কীভাবে নিজেকে স্বান্তনা দেন? ইয়াসির রাব্বির জবাব, ‘আমি আসলে আমাদের একজন বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলছিলাম এ জিনিসটা নিয়ে। তিনি আমাকে বলেছেন, তুমি যে জায়গায় আছো সে জায়গায় বাংলাদেশের অনেকেই নাই। তুমি যদি এভাবে চিন্তা করো তাহলে তোমার জন্য ভালো।
আর যদি চিন্তা করা আমাকে খেলাচ্ছে না কেন? আমার হচ্ছে না। এসব চিন্তা করলে তুমি নিজেই পিছিয়ে যাবে। এই কথাটা আমার অনেক ভালো লাগছে। যখনই আমি মানসিকভাবে ডাউন হই, তখন ভাবি আমি যে জায়গায় আছি তা অনেকের জন্য স্বপ্ন। আমি হয়তো দরজায় আছি, আরেকটু কষ্ট করলে দলে ঢুকতে পারবো। আমি কষ্ট না করলে হয়তো ছিটকে যাবো।’
এবারের লক্ষ্য কী? তার উত্তর, ‘আসলে এই কথাটা অনেক পুরোনো কথা। সবসময় বলে এসেছি, যতবারই আপনাদের সঙ্গে কথা হয়, অবশ্যই নিজের সেরাটা দিতে চেষ্টা করবো। লক্ষ্য সবসময় একই থাকে, এখনও সেটাই আছে।’
রোববার থেকে খালেদ মাহমুদ সুজনের অধীনে প্র্যাকটিস করছেন ইয়াসির রাব্বিসহ সাত তরুণ ক্রিকেটার। নতুন টিম ডিরেক্টর তাদের কী বলছেন? জানতে চাইলে ইয়াসির রাব্বির জবাব, ‘সুজন ভাই বলেছেন আমাদের জন্য এটা অবশ্যই অনেক বড় সুযোগ। দলে থাকি না থাকি, টি-টোয়েন্টিতে আমাদের ছোটখাটো কিছু জিনিস উন্নতি করা প্রয়োজন, মূলত সেসব জিনিস নিয়েই কাজ করা হচ্ছে। যেমন রেঞ্জ হিটিং, ব্যাট সুইং এসব।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেকবারই দেখা গেছে পাওয়ার হিটিংয়ের সামর্থ্য রয়েছে তার। নিজেকে এই পাওয়ার হিটিংয়ের যোগ্য বিকল্প মনে হয় কি না? উত্তরে রাব্বি বলেছেন, ‘আমি আসলে পাওয়ার হিটিং না, সবসময় চাই তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করতে। তবে আমার দলের লক্ষ্যটা যদি এমন হয় আমাকে পাওয়ার হিটিং করতে হবে তাহলে আমি নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করবো, এই তো।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রিয় জাতীয় দলের ব্যর্থ হওয়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে তার কথা, ‘আসলে আমার কাছে যেটা মনে হয় টেকনিক্যাল কোনো ব্যাপার এখানে নেই। আমরা হয়তো মানসিকভাবে একটু পিছিয়ে ছিলাম কোনো কারণে। ঐ জায়গাটা যদি আমরা ওভারকাম করতে পারতাম, আমাদের জন্য হয়তো আরও সহজ হতো।’
পাওয়ার হিটিংয়ের ক্ষেত্রে কোনটি বেশি জরুরি? চট্টলার এ ক্লিন হিটারের ব্যাখ্যা, ‘সাহসটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সাহস না থাকলে আপনি কখনও ছয় মারতে পারবেন না। আমার কাছে মনে হয় এ জিনিসটা একটা ব্যাটসম্যানের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সাহস থাকতে হবে ছয় মারার জন্য।’