লম্বা সময় ধরেই টি-টোয়েন্টিতে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন মুশফিকুর রহিম। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুঃস্বপ্নের মতো সিরিজ কাটানোর পর বিশ্বকাপের বাছাই পর্বেও
নিজের ছন্দ ফিরে পাচ্ছিলেন না ডানহাতি এই ব্যাটার। যদিও সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন মুশফিক।
প্রায় ২ বছর পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছিলেন তিনি। ফর্মে না থাকায় এই সময়টায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে। সমালোচকদের জবাব
দিতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক জানিয়েছেন, যারা সমালোচনা করে তাদের মুখগুলো আয়নায় দেখা উচিত।
১৬ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছেন মুশফিক। কিন্তু কখনও নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটার। লঙ্কানদের বিপক্ষে করা হাফ সেঞ্চুরিটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার প্রথম। বিশ্বকাপের আগে থেকেই অবশ্য টি-টোয়েন্টিতে বাজে সময় পার করছিলেন মুশফিক।
২০১৯ সালের নভেম্বরের পর থেকেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ তিনি। এই সময়ের মাঝে ১১ ইনিংসে ব্যাট করলেও কোন হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাননি। সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংসটি এসেছে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে। ১১ ইনিংসের মাঝে শূন্য রানে ৩ বার ও ১০ রানের নিচে আউট হয়েছেন ৪ ম্যাচে। এমন নিষ্প্রভ পারফরম্যান্সের পর মুশফিকের টি-টোয়েন্টি দলে থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল।
তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ায় খানিকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পেরেছেন তিনি।
সমালোচকদের জবাব দিতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেন, ‘মাঠের বাইরে তো নানা রকম কথা হবে। এটা সবসময় হয়ে থাকে।
খেলোয়াড় হিসেবে আপনি যখন ভালো করবেন তখন সবাই তালি দেবে আবার যখন খারাপ করবেন তখন গালি দেবে। এটাই তো স্বাভাবিক।
এটা আমার প্রথম বছর না, গত ১৬ বছর ধরে খেলছি এটা (সমালোচনা) আমার কাছে নতুন কিছু না। এটা আমার কাছে খুবই স্বাভাবিক লাগে।’
বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক আরও বলেন, ‘যারা এইরকম কথা বলে থাকে তাদের নিজেদের মুখটা একটু আয়নায় দেখা উচিত।
তারা বাংলাদেশের জন্য খেলে না,খেললে আমরা খেলোয়াড়েরাই খেলি। শুধু আমি না যারা ১৬ বছর ধরে বলেন, ২০০০ সাল কিংবা টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার আগে যারা খেলেছে সবাই ভালো করার চেষ্টা করে। কোনদিন হয় আবার কোনদিন হয় না।’