সুপার টুয়েলভের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের লড়াইয়ের কথা উঠলেই মনে হয়ে যায় ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালের কথা। যেখানে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় জিতেছিল উইন্ডিজরা। বিশ্বকাপের এবারের আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হয় আগের আসরের দুই ফাইনালিস্ট।
ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন সিমন্স এবং ইভেন লুইস।লুইস ঝড়ো ব্যাটিংয়ের আভাস দেয়ার আগেই ক্রিস ওকসের বলে মইন আলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মাত্র ৬ রান করে।
এর পরপরই মইন আলির ব্যক্তিগত ২য় ওভারে লিভিংস্টোনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন আরেক ওপেনার সিমন্স।তিনি করেন মাত্র ৩ রান।মইন আলি মেডিন ওভারসহ পান ১ উইকেট।দুই ওভারে মইন আলি ৭ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।
হেট্মায়ারও আজ ব্যাটে আলো ছড়াতে পারেনি।মইন আলির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরের পথ ধরতে হয় তাকে। তিনি করেন মাত্র ৯ রান।
গেইলকে নিয়েই আজ আশা ছিল।কিন্তু তিনিও সবাইকে আশাহত করে ১৩ বলে ১৩ রান করে মিলস এর বলে মালানের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিওনে ফেরেন।
ডিজে ব্রাভোও আজ ক্রিজে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি।ক্রিস জর্ডানের বলে জনি বেয়ারস্ট্রোর হাতে দারুণ এক ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।ফেরার পথে তার ব্যাট থেকে আসে ৫ রান।
উইন্ডিজ স্কোয়াডে যেন আসা যাওয়ার পালা চলছিল।নিকোলাস পুরানও মিলসের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে ফেরেন মাত্র ১ রান করে।দলীয় ৪২ রানেই উইন্ডিজ হারিয়ে বসে ৬ উইকেট।
আন্দ্রে রাসেলও আজ ছিলেন বর্ণহীন।আদিল রশিদের প্রথম ওভারের প্রথম বলে দুর্দান্ত বোল্ড আউট করে ফেরান এই হার্ডহিটার ব্যাটস্ম্যানকে।আজ ডাক মেরেই ফিরতে হয় তাকে।
আদিল রশিদ তার দ্বিতীয় ওভারেও ছিল দুর্দান্ত।পরপর দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে ফেরান পোলার্ড এবং ম্যাকনিকে।ব্যক্তিগত
দুই ওভার শেষে মাত্র ২ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন আদিল রশিদ।
আদিল রশিদ তার তৃতীয় ওভারেও এর ব্যাতিক্রম ছিলেন না।এই ওভারে রামপালের উইকেট তুলে নিলে ১০ম উইকেটের পতন হয় উইন্ডিজের।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ওয়েস্ট ইন্ডিজঃ৫৫/১০(১৪.২)
আদিল রশিদঃ৪-২-(২.২)