
যখনি খাদের কিনারে বাংলাদেশ, তখনই টাইগারদের কাণ্ডারি পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আরও একবার বাংলাদেশকে বিশ্বকাপের রেসে রাখলেন এই অলরাউন্ডার।





দলের প্রয়োজনে খেললেন গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। নাঈম শেখকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৮০ রানের জুটি। ২৯ বলে করেন ৪২ রান। শুধু তাই নয়, বল হতেও তার ঘূর্ণি জাদু দেখালেন। একে একে নেন তিনটি উইকেট। অলরাউন্ড পারফরমেন্সের কারণে তাই ম্যাচসেরার পুরস্কারও ওঠে তার হাতে।





ওমানের বোলারদের লাইন-লেন্থ আর স্যুইংয়ে শুরু থেকেই পরাস্ত হচ্ছিল। ২১ রানে দুই উইকেট হারানোর পর চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে সেই চাপ সামাল দিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন সাকিব।
৬ চারে ২৯ বলে খেলেন ৪২ রানের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫৩ রান।





এই রান চেজ করতে নেমে শুরুতে ভালোই আভাস দেয় ওমানের ব্যাটাররা। তবে সাকিব যে অনন্য। বল হাতে প্রতিপক্ষের ত্রাস, সেটি আবারও বুঝিয়ে দেন। বল হাতে আলো ছড়িয়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। ৪ ওভার বল করে ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন সাকিব।
ম্যাচ শেষে সেরার পুরস্কারটাও তাই সাকিবের হাতেই উঠেছে। সাকিবের এই ম্যাচ উইনিং পারফরমেন্সে খুশি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) সাকিবর দল কলকাতা নাইট রাইডার্সরও।





কলকাতার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সাকিবের দুটি ছবি শেয়ার করে তারা। ব্যাটিং করা মুহূর্তের একটি ছবি এবং উইকেট পাওয়ার পর একটি ছবি পাশাপাশি শেয়ার করে তারা। ব্যাট-বল হাতে অলরাউন্ড পারফরমেন্স নিয়ে ম্যাচসেরার কথাও উল্লেখ করে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
এদিকে দেশের হয়ে সবশেষ পাঁচ ম্যাচের সবকটিতেই ম্যাচসেরা হয়েছেন সাকিব।