
বিশ্বকাপ হবে আর অঘটন ঘটবে না, তা কী করে হয়! ‘অঘটন’- এই শব্দটার মধ্যে লুকিয়ে আছে বহু কান্না, বহু হতাশা আর মন ভাঙার গল্প। যুগে যুগে এটা হয়ে উঠেছে মহারণেরই অংশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এমন পাঁচটি বড় অঘটনের কথা জেনে নিন…
জিম্বাবুয়ে বনাম অস্ট্রেলিয়া, ২০০৭
ওই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ১৩৮ রানে থামিয়ে দেয় জিম্বাবুয়ে, এল্টন চিগুম্বুরা ও গ্যারি ব্রেন্ট ভাগাভাগি করেন পাঁচ উইকেট। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ব্রেন্ডন টেলর ৪৫ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন। চারটি লেগবাইসহ এক বল হাতে থাকতে ম্যাচ জিতে যায় জিম্বাবুয়ে।





নেদারল্যান্ডস বনাম ইংল্যান্ড, ২০০৯
২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে চমক দেখায় নেদারল্যান্ডস। লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটের বিস্ময়কর জয় পায় ডাচরা। হোম অব ক্রিকেটে ১৬৩ রানের লক্ষ্যে নেমে শেষ বলে জয়সূচক দুটি রান করেন তারা। টমি ডি গ্রুথ নেদারল্যান্ডসের হয়ে ৪৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। ডাচরা ২০১৪ সালের টুর্নামেন্টে আবারো ইংল্যান্ডকে হারায়। চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সুপার টেনের ম্যাচে ৪৫ রানে জেতে অরেঞ্জরা।





হংকং বনাম বাংলাদেশ, ২০১৪
চট্টগ্রামে স্বাগতিক বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়ার সময় হংকংয়ের হারানোর কিছু ছিল না। ৮০ রানে নেপালের কাছে ও সাত উইকেটে আফগানিস্তানের কাছে হেরেছিল তারা। কিন্তু তারা টুর্নামেন্ট শেষ করে মাথা উঁচু রেখে। টাইগারদের বিপক্ষে ২ উইকেটে জেতে তারা। স্পিনার নাদিম আহমেদ (৪-২১) ও নিজাকাত খান (৩-১৯) বাংলাদেশকে ১০৮ রানে থামাতে বড় অবদান রাখেন। তারপর ওপেনার ইরফান আহমেদ (২৮ বলে ৩৪) ও মুনির দার (২৭ বলে ৩৬) দলকে জেতান।





আফগানিস্তান বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০১৬
নাগপুরে আফগানিস্তান বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ইনিংস ডিফেন্ড করেছিল। নাজিবউল্লাহ জাদরানের ৪০ বলে ৪৮ রান আফগানিস্তান করে ১২৩ রান। মোহাম্মদ নবি, আমির হামজা ও রশিদ খানের মতো স্পিনারদের মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন বোলার পাঁচ উইকেট নেন, জয়ের জন্য ৬ রান দূরে থাকতে থামে ক্যারিবিয়ানরা। তবে প্রতিযোগিতায় শেষ হাসিটা হেসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজই। ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দ্বিতীয় ট্রফি জেতে তারা।





স্কটল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ, ২০২১
জোহানেসবার্গে জন্ম নেওয়া ক্রিস গ্রিভস ব্যাটে বলে স্কটল্যান্ডকে এনে দেন দারুণ জয়। মাসকটে ছয় রানে হারায় বাংলাদেশকে। গ্রিভস ২৮ বলে ৪৫ রান করে দলকে এনে দেন ৯ উইকেটে ১৪০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর। বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৩৪ রানে।