বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেছে অনেক আগেই। দল নিয়ে খুব বেশি আলোচনার কিছু ছিলো না। নিয়মিত পারফর্মাররাই জায়গা পেয়েছেন দলে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারতে বাংলাদেশ ৩ তারিখ রাতেই দেশ ছেড়েছে। ওমান একাদশের সাথে একটা প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছে।
আজ অফিশিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল নিয়ে খুব বেশি আলোচনা না হলেও মোহাম্মদ আশরাফুল নিজের হতাশা প্রকাশ করেছেন বিশ্বকাপের দল নিয়ে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল কেমন হয়েছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে নিজের হতাশার কথা জানান আশরাফুল। তিনি বলেন, আমি অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি, যে দল খেলতে যাচ্ছে তার বাইরেও যে প্লেয়ার থাকতে পারে বা আছে- তা কারো ব্রেনেই ছিল না।
কোচ, নির্বাচক কিংবা টিম ম্যানেজমেন্ট কারো ভাবনায়ই ছিলনা যে এর বাইরেও কেউ দলে থাকতে পারে। আর কারো দিকে তাকানো যায়; কিন্তু আসলে আছে। অন্তত জনা দুয়েক বিকল্প পারফরমার আছে। যাদের কথা ভাবা যেত। যাদের বিবেচনায় আনা যেত।
তিনি আরও কয়েকজনের সংযুক্তির কথা বলে্ন। তার মতে, আমার মনে হয় ওপেনিংয়ে রনি তালুকদার আর পেস বোলিংয়ে কামরুল ইসলাম রাব্বিকে বিবেচনায় আনা যেত। রনি তালুকদার এই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কয়েক বছর নিয়মিত পারফরম করেছে; কিন্তু কোন ডাক পায়নি। কামরুল ইসলাম রাব্বি গত দুই লিগ ও বিপিএলে দারুন বোলিং করেছে। স্লোয়ার দিচ্ছে খুব ভাল; কিন্তু বিবেচনায় আসেনি। তাদের খুঁটিয়ে দেখা যেত।
তিনি আরও যোগ করেন, যে ২১ জন ক্রিকেটারের মধ্যেই আসলে বিশ্বকাপের সিলেকশন হয়েছে। বর্তমান পারফরমন্সে ধরলে বেশ কয়েকজন অফফর্মের পারফরমার দলে। লিটন দাসের কথা ধরেন, শেষ ৭ ম্যাচে হায়েস্ট মোটে ৩৩। সৌম্য সরকার লাস্ট ৬ ইনিংসে সর্বোচ্চ মাত্র ১৬ রান।
মুশফিকুর রহিম শেষ ৫-৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচেরও গড় স্কোর ১০-১২। আপনি যদি ওইভাবে চিন্তা করেন, তাহলে দলে বেশ কিছু প্লেয়ার আছেন যাদের নাম ডাক বেশি। নাম দিয়ে চিন্তা করলে সলিড দল। এক্সিলেন্ট টিম; কিন্তু কারেন্ট পারফরমেন্স বিবেচেনায় দলে অফফর্মের প্লেয়ার বেশি।